পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOo M2 ধৰ্ম্মজীবন । অথচ পরিবৰ্ত্তিত হইল না, ইহা কি সম্ভব ? যদি তাহা সম্ভব না হয়, তবে ইহা কেন সম্ভব হইবে যে, মানুষ সত্যস্বরূপের অৰ্চনা করিবে অথচ তাহার জীবনে পরিবর্তন দেখা যাইবে ञ ? অথচ ইহা সকলেরই স্বীকাৰ্য্য যে, আমরা বহু বহু স্থলে এরূপ দেখিতেছি, যে মানুষ নিয়মপুৰ্ব্বক ঈশ্বরাৰ্চিনা করিতেছে, অথচ জীবনে কোনও পরিবর্তন লক্ষিত হইতেছে না । যে কৃপণ-স্বভাব সে কৃপণ-স্বভাব থাকিতেছে ; যে পরশ্ৰীকান্তর সে তাহাই রহিয়াছে; যে বিষয়-সুখ লোলুপ, বা ইন্দ্ৰিয়-সুখ-প্ৰয়াসী, সে তাঁহাই থাকিতেছে। অপরদিকে মানুষের গাৰ্হস্থ্য ও সামাজিক জীবনে কোনও পরিবর্তন দেখা যাইতেছে না ; প্ৰাচীন কুরীতি সকলই থাকিয়া যাইতেছে। বাধ্য হইয়া বলিতে হইবে, ঐ ঈশ্বরাচৰ্চনার মধ্যে কোনও স্থানে ত্রুটি রহিয়াছে। সে ক্রটটি কি এবং কোথায় রহিয়াছে ? এখানে ধৰ্ম্মসাধনের পথের দুইটী বিপদ স্মরণ করাইয়া দিতেছি, সাধক মাত্রেরই সেই দুইটীর প্রতি সুতীক্ষ দৃষ্টি রাখা কৰ্ত্তব্য । প্ৰথম বিপদ এই, আমরা প্ৰাচীন সমাজে অনেক লোক দেখিতেছি, যাহারা ধৰ্ম্মের বাহা ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত রহিয়াছেন, জপ, তপ, শৌচ, সদাচার যে কোনও বিধান শাস্ত্ৰে আছে, পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তাহার আচরণ করিতেছেন, অথচ সে সকলে তাহাদিগকে চিত্তশুদ্ধি দিতেছে না । প্ৰাতে গঙ্গাতীরে গিয়া দুই চারি দণ্ডকাল দণ্ডায়মান হও, হয় ত দেখিতে পাইবে