পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O Vo ধৰ্ম্মজীবন। জ্ঞান, নিঃস্বার্থতা, কোমলতা, স্নেহ মমতা প্ৰভৃতি বিকাশ পাইত ? ইহা সৰ্ব্বদাই মনে রাখিও, সুখী সুস্থ ও ধৰ্ম্মানুগত পরিবারের ন্যায় মানব-চরিত্রের সদগুণ রাশির শিক্ষা-ভূমি দ্বিতীয় নাই। রাজনীতি, সমাজনীতি সমুদয় ইহার উপরে প্ৰতিষ্ঠিত । যাহা হউক যে জন্য এত কথা বলা যাইতেছে, তাহা এই, মানব-জীবনের সকল বিভাগেই দেখিতেছি, সত্যের সহিত সংস্পৰ্শ ভিন্ন মানবের শিক্ষা হয় না । ধৰ্ম্মজীবনের শিক্ষা কি কল্পনাকে আশ্রয় করিয়া হইতে পারে ? কল্পনাতে অবস্থা সৃষ্টি করিয়া, তন্মধ্যে পড়িয়া, ভাবোচ্ছাস সম্ভোগ করিয়া কি মানুষ গড়িতে পারে ? মানুষ গড়ার অর্থ কি ? জ্ঞান উজ্জ্বল হইবে, ভাব প্রবল হইবে, ধৰ্ম্মবুদ্ধি প্রখর হইবে, ইচ্ছা দৃঢ় হইবে, কাৰ্য্যশক্তি বাড়িবে, তবে মানুষ গড়িবে। ইহার জন্য সত্যস্বরূপের অৰ্চনার প্রয়োজন । ঈশ্বরকে ভাব রাজ্যে বদ্ধ রাখিয়া আমি পত্নী তিনি পতি, আমি বন্ধু তিনি সখা, ইত্যাদি প্রকারে ভাবসম্ভোগ করিলেই পুৰ্ব্বোক্ত সৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতি সাধিত হইবে না । তাহাকে সত্যভাবে ধারণা করিয়া অৰ্চনা করিতে হইবে । অর্থাৎ জ্ঞান তাহাকে সত্যভাবে ধরিবে, প্ৰেম তাহাকে প্ৰেমাস্পদরাপে বরণ করিবে, ধৰ্ম্মবুদ্ধি তাহাকে প্রেরকরূপে গ্ৰহণ করিবে, ইচ্ছা তঁহাকে অধিপতিরূপে লাইবে, তবে সমগ্ৰ প্ৰকৃতির দ্বারা তাহাকে সত্যরূপে লওয়া হইবে। যতক্ষণ তিনি উজ্জ্বল সত্যরূপে আত্মার নিকট প্রতিভাত না হন, ততক্ষণ