পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব-জীবন ! S R কাণ্ডের প্রতিবাদ করিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্ম অভূদিত হইবামাত্র সমাজমধ্যে ‘অহিংসা পরমোধৰ্ম্মঃ” এই উক্তি জাগিয়া উঠিয়াছে ; এবং কিছুকাল সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের মুখে প্ৰতিধ্বনিত হইয়াছে ; আবার সে ধবনি কালে তান্ত্রিক বীভৎসাচারে নিমগ্ন হইয়া গিয়াছে । ব্ৰাহ্মসমাজের ক্ষুদ্র ইতিব্লত্তের মধ্যে ও অমরা ইহার প্ৰমাণ প্ৰাপ্ত হইয়াছি । যখন মহা তু। রাজা রামমোহন রায়ের প্রযত্নে, ও লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কের সাহায্যে, সহমরণ প্ৰথা নিবারিত হইল, ও তৎপরেই ব্ৰাহ্মসমাজের উপাসনা, গৃহ নিৰ্ম্মিত ও তাহার দ্বার উদঘাটিত হইল, তখন কলিকাতার প্রাচীন সমাজমধ্যে ঘোর আন্দোলন উপস্থিত হইল । রামমোহন রায়ের দলের জয় দেখিয়া হিন্দুধৰ্ম্মের পুনরু খানের প্রয়োজনীয়তা বোধ হইল । দলে দলে প্ৰাচীন ধৰ্ম্মাবলম্বী ব্যক্তিগণ সম্মিলিত হইলেন । এরূপ উৎসাহ ও চিত্তের একাগ্ৰতা কেহ কখনও দেখে নাই । তাহারা অনেক সহস্র টাকা তুলিলেন ; প্ৰকাণ্ড বাড়ী ভাড়া করিলেন ; সংবাদ পত্র বাহির করিলেন ; উপদেশক নিযুক্ত করিলেন ; কিছুই বাকী রাখিলেন না। সকলের মুখে এক কথা, সকলের এক ভাব । ধৰ্ম্মসভা ব্ৰহ্মসভাকে হত্যা কৱিবে সকলের এই আশা । কিন্তু সে ভাব কতদিন রহিল ? যতদিন রামমোহন রায় এদেশে ছিলেন । তিনি ইংলেণ্ডে গমন করিলেন ; ব্ৰহ্মসভা দুর্বল হইয়া পড়িল; সেই সঙ্গে ধৰ্ম্মসভাও দুর্বল হইয়া পড়িল । আমার বোধ হয়, আজ যদি ব্ৰহ্মসমাজ উঠিয়া যায়, সেই সঙ্গে সঙ্গে অনেক হরিসভা, অনেক হিন্দু