পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 ধৰ্ম্মজীবন । গুরুতর দুণীতি কখনও দেখা দিবে না, অথবা সর্বদাই এবং সকল স্থলেই তাহারা গুছাইয়া কাজ করিতে পরিবে, অথবা তাহদের সামাজিক কাৰ্য্য-নির্বাহ-প্ৰণালী সর্বদাই নির্দোষ ও সুবিচার-সঙ্গত হইবে, কিন্তু গড়ের উপরে এটা বলিতে পারা যায়, তাহদের যে কিছু ভ্ৰম প্ৰমাদ ঘটুক না কেন, ঐ হৃদয়-নিহিত ধৰ্ম্মভাব সমুদয় সামলাইয়া व्लशेहद । এখানে দুইটা কথা বলা আবশ্যক । প্ৰথম কথা। এই, ধৰ্ম্ম-সমাজকে কিরূপে রক্ষা করিতে হইবে ও কি প্রকারে উন্নতির অভিমুখে লইয়া যাইতে হইবে, এ চিন্তাতে যাহারা প্ৰবৃত্ত হন, তাহদের সর্বাগ্রে ইহা জানা আবশ্যক যে ধৰ্ম্মসমাজকে রক্ষা করিবার প্রধান উপায় তাহার অঙ্গীভূত নরনারীর অস্তরে ঈশ্বর-শ্ৰীতিকে জাগ্রত করা অর্থাৎ তাহদের ধৰ্ম্মভাব বৰ্দ্ধিত করা । যদি এ জিনিসটা না থাকে, তাহা হইলে রক্ষা ও উন্নতির জন্য যে কিছু বাহিরের উপায় অবলম্বিত হউক না কেন, কিছুতেই তদার সে সমাজ সুরক্ষিত হইবে না । যেমন দেশের লোকের হৃদয় হইতে নীতির প্রতি অনুরাগ বিলুপ্ত হইলে, আইন আদালত প্ৰভৃতির দ্বারা তাহদিগকে কখনই সুনীতির মধ্যে রক্ষা করা যায় না, তাহারা এমন সকল পাপে লিপ্ত হয়, আইন আদালত যাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না, তেমনি একটা মণ্ডলী হইতে ধৰ্ম্মভাব বিলুপ্ত হইলে, কোনও সামাজিক শাসন দ্বারা তাহাদিগকে সুপথে