পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন \\۔ স্থলে আমরা দেখিতে পাই যে অপর বিদ্যা বিনয়কে প্রসব না। করিয়া অহমিকাকেই প্ৰসব করিতেছে, তথাপি বিদ্যার সহিত বিনয়ের যে গুঢ় যোগ আছে, তাহা সুনিশ্চিত। প্রকৃত বিদ্যা ধ্যেখানে আছে, সুগভীর তত্ত্বান্বেষণ যেখানে আছে, সেইখানেই মানবের নিজের অজ্ঞতা-জ্ঞান সমুজ্জ্বল। কি পদার্থতত্ত্ব, কি অধ্যাত্মতত্ত্ব, যে রাজ্যেই মানব মন গভীর ভাবে প্ৰবেশ করিতে চাহিতেছে, সেই বিভাগেই দুরবগাহ সমস্যা সকলের মধ্যে পতিত হইতেছে। সৰ্ব্বত্রই মানুষ বুঝিতে পারিতেছে, যে এ ব্ৰহ্মাণ্ডে মানব ঘোর অজ্ঞতাতে জড়িত । মানব এজগতে পিঞ্জরাবদ্ধ বিহঙ্গমের ন্যায় যবনিকার অত্যন্তরালে বসিয়া আছে । সেই যবনিক। ভেদ করিয়া নে দুই এক রশ্মি আলোক আসিতেছে, তাহাতেই আপনাকে ও আপনার পিঞ্জীরকে কিঞ্চিম্মাত্ৰ দেখিতে পাইতেছে, এইমাত্র । এরূপ অবস্থাতে মানব-মনে বিনয়ই শোভা পায় । ষািঠতঃ-অপাের। বিদ্যার আলোচনা দ্বারা অামাদের চিত্তে ঈশ্বরের মহিমার জ্ঞান উদ্দীপ্ত হয় । এই প্ৰকাণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ডের যে কোন ও বিভাগে আমরা দৃষ্টিপাত করি না কেন, সকল বিভাগেই সেই জ্ঞানময় পুরুষের অপার জ্ঞানের লীলা দেদীপ্যমান রহিয়াছে। সুতরাং অপর বিদ্যা যে বিভাগেই গমন করুক না। কেন, বিনীত ও প্রেমিক ব্যক্তির চক্ষে সর্বত্রই তাহার মহিমা প্ৰকাশ করিয়া থাকে । অতএব আমরা দেখিতেছি, অপর বিদ্যা অনাসক্তিকে