পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰ্ম্মের প্রধান লক্ষণ । পরমার্থ সাধিত হয় । কৰ্ম্মবাদিগণ মনে করিয়াছেন যে বেদোক্ত ও শাস্ত্ৰবিহিত ক্রিয়াকলাপের অনুষ্ঠানই ধৰ্ম্ম । ইহঁরা জ্ঞান ভক্তির উপরে ততটা নির্ভর করেন নাই । আমরা ধৰ্ম্মসাধন বলিলে এক বহু বিস্তীর্ণ ব্যাপার অনুভব করিয়া থাকি । যে সাধন দ্বারা জ্ঞানে গভীরতা, প্ৰেমে বিশালতা, কৰ্ত্তব্য জ্ঞানে দৃঢ়তা, চরিত্রে সংযম, মানবে প্ৰেম, সাধুজনে শ্রদ্ধা ও ঈশ্বরে ভক্তি লাভ করা যায় তাহাকে আমরা ধৰ্ম্মসাধন মনে করি । জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতিসহকারে ধৰ্ম্মসাধনের এই মহৎ ভ মানব মনে প্ৰবিন্ট হইতেছে । অনেক ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের ভাব এইরূপ যেন মানবের প্রকৃতিনিহিত গুণের সহিত ধৰ্ম্মের স্বাভাবিক বিরোধ আছে । প্ৰকৃতিকে বাধা দেওয়া, প্ৰকৃতিকে দালন করা, প্ৰকৃতি যাহা চায় তাহার বিরুদ্ধ আচরণ করাই ধৰ্ম্ম । খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মাবলম্বিগণ বিশ্বাস করেন যে, মানব-প্রকৃতি ভ্ৰষ্ট ও পাপ দূষিত, ইহাতে যাহ। কিছু অাছে, তাহ পাপে পঙ্কিল ও ধৰ্ম্মজীবনের বিরোধী । মানুষ যখন ধৰ্ম্মজীবন লাভ করে তখন তাহার মধ্যে আর এক প্ৰকৃতি জন্মগ্রহণ করে, তখন সে পূর্বকার প্রকৃতির-বিরুদ্ধ পথেই গমন করিতে থাকে। হিন্দু ধৰ্ম্মে দুইটা প্ৰকৃতির এমন পরিষ্কার নির্দেশ না থাকিলেও মানবজীবনকে বিষয়-বাসনার অধীন বলিয়া নির্দেশ করাতে প্ৰকৃতির স্বাভাবিক কাৰ্য্য সকল ও বিষয়-বাসনা বলিয়া প্ৰতীয়মান হয়, এবং তদ্বিপরীত আচরণ করা ধৰ্ম্মসাধন বলিয়া পরিা