পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፪፻፺፰ (€i፪†sï G¶ቺቐጣ ! اة ماء উচ্ছঙ্খল ও স্বৈরাচারী আরবীয় জাতিকে ধৰ্ম্মের কঠোর শাসনের অধীন করিলেন । মহম্মদের জীবনে ধৰ্ম্মের এই মহৎ কাৰ্য্য সাধনের যেরূপ উজ্জ্বল দৃস্টান্ত দেখিতে পাওয়া যায়, সেরূপ দৃস্টান্ত জগতের ইতিব্লত্তে বিরল। মহম্মদের সমকালে আরবের যে অবস্থা ছিল তাহ অতীব ভয়ঙ্কর । এই সমারপ্ৰিয় জাতি নিরস্তর অন্তবিদ্রোহে ও নররক্ত-পাতে কাল কাটাইত ও বিবিধ যথেচ্ছাচারে লিপ্ত থাকিতে ; আর কিছু না হউক সেই জাতিকে যে মহম্মদ পাচবার নামাজ করিতে হইবে এই নিয়মের মধ্যে বাধিলেন ইহাই সে দেশের পক্ষে কি মহৎ পরিবর্তন ! তাহার ন্যায় আরবের উপকারী বন্ধ কে ? এক্ষণে আমরা অনুভব করিতে পারিতেছি যে, আপনাকে ঈশ্বরোিচ্ছাধীন করাই যদি ধৰ্ম্মের একটি। প্ৰধান লক্ষ্য হয়, তাহা হইলে সংযম ও শাসনকে ধৰ্ম্মের প্রধান লক্ষণরূপে গণ্য করা যাইতে পারে । আমরা স্বেচ্ছাচার বলিতে সচরাচর অসাধু ভাবকেই বুঝিয়া থাকি । যে প্ৰবৃত্ত্বির দাস, যে যথেচ্ছ আহার পান করে, যে অপরিমিত ইন্দ্ৰিয় সেবা করে সেই স্বেচ্ছাচারী । কিন্তু ধৰ্ম্মের নামে, ও সাধু ভাবের নামেও যে এক প্রকার স্বেচ্ছাচার হইতে পারে তাহা আমরা ভুলিয়া যাই। উচ্ছঙ্খল ও অসংযত জীবনই স্বেচ্ছাচারের দৃষ্টান্ত স্থল । আপনার প্রকৃতি ও আপনার প্রবৃত্তি কুল যাহা চায়, যাহাতে তৃপ্তি ও মিষ্টতা পায়, তাহা করিতে দেওয়া স্বেচ্ছাচার। নির্বোধি মাতা যেমন