পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

IT C2 키e S বাধ্যতা বলিয়াছেন । কথাটা একই, ঈশ্বৱেচ্ছার সন্নিধানে আপনার বলিয়া একটা কিছু রাখিব না । ইহাকেই মুক্তি বলা যাইতে পারে, এবং জীবদ্দশায় এই অবস্থা সঁহারা প্ৰাপ্ত হন তাহাদিগকে জীবন্মুক্ত বলা যাইতে পারে। তৎপরেই প্রশ্ন আসিতেছে, এতটা আত্ম-সমৰ্পণ বা আত্মবিলোপের ভাব পাইবার উপায় কি ? এখানে আবার মতভেদ দেখা দিয়াছে । কেহ কেহ বলিয়াছেন জ্ঞান দ্বারা ; কেহ কেহ বলিয়াছেন প্ৰেম দ্বারা । একদল বলিয়াছেন। অনিতাকে অনিত্য বলিয়া জানি, তাহাতে আর আসক্তি থাকিবে না ; সুতরাং নিজের কার্স। কিছু থাকিবে না, এবং ধৰ্ম্ম-নিয়মের আনুগত্য সুসাধা হইবে । অপর দল বলিয়াছেন, ধৰ্ম্ম-নিয়ম যে জ্ঞানক্রিয়া সম্পন্ন পুরুষের ইচ্ছার প্রকাশ মাত্র তাহাকে সৰ্ব্বান্তঃকরণের সহিত শ্ৰীতি কর, আত্ম-সমৰ্পণ ও আত্মবিলোপ সুসাধ্য হইবে। আমরা এই দ্বিতীয়শ্রেণী ভুক্ত লোক । আমরা প্ৰতিদিন প্রেমের এই মহিমা দেখিতেছি যে ইহা প্ৰকৃত আত্ম-সমৰ্পণ ও আত্ম-বিলোপকে উৎপন্ন করে ; ইহা স্বাধীনতাকে পরাধীনতাতে ও পরাধীনতাকে স্বাধীনতাতে পরিণত করে ; ইহা সৰ্ব্বস্ব দিয়া সৰ্ব্বস্ব পায়, এবং মরিয়া জীবন লাভ করে ; যে প্রেমের এই মহিমা সেই প্ৰেমই যে প্ৰকাত পথ তাহাতে আর সন্দেহ কি ? সুতরাং ধৰ্ম্মের লক্ষণ কি তাহা যদি সংক্ষেপে বলিতে হয় তাহা হইলে বলিতে হয় যে প্রেমে ঈশ্বর-চরণে আত্ম-সমৰ্পণ করিয়া তাহার ইচ্ছার দ্বারা আপনার ইচ্ছাকে নিয়মিত করা ।