পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tr8 ধৰ্ম্মজীবন । আমাদেরও বাচিবার সম্ভাবনা আছে ; আমাদিগকে লইয়াও ঈশ্বরের স্বৰ্গরাজ্যে কাজ আছে ;- এই চিন্তাতেই তাহদের হৃদয়কে পরিবর্তিত করিয়া ফেলিল। প্ৰায় সকল মহাজনেরই জীবনে এই কথার প্রমাণ পাওয়া যায়। একটী পতিত রমণী মহাত্মা যীশুর নিকট আসিত । একদিন সভামধ্যে সেই নারী যীশুর নিকট আসতে তাহার শিষ্যগণ বিরক্ত হইয়াছিলেন । তাহাতে যীশু শিষ্যদিগকে ঐ নারীকে বাধা দিতে নিষেধ করিলেন ও তাহার প্রেমের প্রশংসা করিলেন । ঐ কথাগুলি সেই রমণীর হৃদয়ে প্রোথিত হইয়া রহিল । সে ভাবিতে লাগিল। তবে এই পাপীয়সীর আশা আছে, তবে কি সত্য সতাই পাপ হইতে উদ্ধার লাভ করিব ? এই চিন্তাতে তাহার হৃদয় পরিবর্তিত করিয়া ফেলিল, তাহাকে নবজীবন আনিয়া দিল । এ জগতে যত পাপী নবজীবন পাইয়াছে, সমুদায় এইরূপে । প্ৰাণে নব আশার জন্ম ন হইলে, বাহিরে নব জীবনের সূত্রপাত হয় না । সাধুদের রূপাপূর্ণ দৃষ্টিতে যদি পাপী নবজীবন পাইতে পারে, তবে অনন্ত করুণাময় পরমেশ্বরের কৃপাদৃষ্টির উপর বিশ্বাস স্থাপন করিলে কি হৃদয়ে আশা জন্মে না ? তদন্দ্বারা কি পাপী নবজীবন লাভ করিতে পারে না ? অবশ্যই পারে । তবে দুঃখের বিষয় এই, তাহার কৃপাপূর্ণ দৃষ্টি দেখিবার জন্য সকলে প্ৰয়াসী হন না । তাহা হৃদয়ে সাক্ষাৎ ভাবে দেখিতে হইলে বিশেষ সাধন চাই ।