পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুরাৎ সুদূরে তদিহান্তিকে চ। Q Q R করিয়াছিলেন, তাহার বিপদ তাহাকে দেখাইয়া দিয়াছিলেন, এবং কুসঙ্গিদের সঙ্গ পরিত্যাগ করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন। দুৰ্ব্বত্ত সন্তান যৌবন-মদে মত্তপ্রায় হইয়া তখন পিতার সেই হিত-বাক্যের প্রতি কৰ্ণপাত করে নাই ; যথেচ্ছ আচরণে ও নানা প্ৰকার পাপানুষ্ঠানে নিযুক্ত হইয়াছিল। ক্রমে নানা প্রকার বিপদে পড়িয়া যখন তাহার চৈতন্যের উদয় হইল, তখন সে আবার সুপথে প্ৰতিষ্ঠিত হইবার জন্য প্ৰয়াসী হইল । এই সংগ্ৰাম যখন তাহার হৃদয়ে জাগিল, তখন সে ভাবিতে লাগিল, যে এত দিনের পর তাহার পিতার মনোরথ পূৰ্ণ হইল ; তাহার উপদেশ বাক্য সার্থক হইল ; এখন তাহার পূর্বাপরাধ বিস্মৃতি হইয়া পিতা তাহাকে পুনরায় স্নেহালিঙ্গন দিবেন। যিনি সৎপথে রাখিবার জন্য এত প্ৰয়াস পাইয়াছেন, তিনি এক্ষণে তাহাকে সৎপথে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য সহায়তা করবেন। এরূপ আশা করা, তাহার পক্ষে স্বাভাবিক কি না ? সেইরূপ মানব যখন ধৰ্ম্মজীবনের সংগ্ৰাম মধ্যে পতিত হয়, তখন আশা ও নির্ভর-পূর্ণ দৃষ্টি ঈশ্বরের কৃপার উপরে স্থাপন করাও স্বাভাবিক। আমরা যখন পাপ-পথে পদাৰ্পণ করি তখন ঈশ্বর হৃদয়ে থাকিয়া আমাদিগকে এইরূপে সতর্ক করেন ; এবং আমরা যখন পাপ-পথ পরিহার করিয়া আবার পুণ্যে প্রতিষ্ঠিত হইবার চেষ্টা করি, তখন এইরূপে তিনি আমাদিগের সহায়তা করিয়া থাকেন। এই যে ধৰ্ম্মজীবনের সংগ্রামের মধ্যে তাহার দিকে নির্ভর-পূর্ণ ভাবে উন্মুখ হওয়া ইহাই প্ৰকৃত প্ৰাৰ্থন । প্ৰকৃত প্রার্থনার অবশ্যম্ভাবী চিরসহচর সংগ্ৰাম । যাহার