পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e Rr ধৰ্ম্মজীবন। দর্শন করিলে এরূপ কৰ্ম্ম যে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তাহাতে আর সন্দেহ নাই । এইরূপ তঁহাকে সত্যের সত্য প্রণের প্রাণরূপে দর্শন করিলে সকল সংশয়েরও ছেদন হয়। ইহার মধ্যে একটু গৃঢ়। অর্থ আছে ; অনেক আধ্যত্মিক সংশয়ের প্রকৃতি এরূপ যে তাহা যুক্তি বা তর্কের দ্বারা দূর করা যায় না। তাহা কেবল ধৰ্ম্মজীবনের উন্নতি ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা লাভ হইলেই নিরস্ত হইয়া থাকে ! সামান্য লৌকিক জ্ঞানলাভ সমন্ধে ইহা অনেক সময় লক্ষ্য করা যায়। পঠদ্দশাতে যখন আমরা বিদ্যালয়ের নিম্নশ্রেণীতে পাঠ করিতাম, তখন এমন অঙ্ক ছিল, যাহা করিতে পারি নাই, বুঝিতেও পারি নাই; সে স্থানগুলি সংশয়ে আকুল ও অন্ধকারাবৃতই থাকিয়া গিয়াছিল। তৎপরে কয়েক বৎসর গত হইল, আমরা দেখিতে দেখিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরের শ্রেণীতে আসিলাম, তখন একদিন নিম্নশ্রেণীর বালকের কষিয়া। দিবার জন্য সেই অঙ্কগুলিই আনিল । তখন দেখি সেগুলি । জলবৎ সহজ বোধ হইতেছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলি করিয়া দিলাম। প্রশ্ন এই, যে বিষয় গুলি এক সময়ে সংশয়ে আকুল ছিল, সে গুলি কিরূপে পরিষ্কার হইয়া গেল ? ইহার উত্তর এই মধ্যবৰ্ত্তী কয়েক বৎসর শিক্ষার উন্নতি নিবন্ধন যে মানসিক শক্তির বিকাশ হইয়াছে তাহরেই গুণে পূৰ্ব্বোক্ত সংশয়গুলি আপনাপনি ছেদন হইয়া শিক্ষণ7ছ। আধাত্মিক বিষয়েও সেই প্রকার । আজ যে ব্যক্তির মনে ঈশ্বরের স্বরূপ, নিরাকারের পূজার সাত্যতা, প্রার্থনার আবশ্যকতা, ও পরকাল