পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sðb- शन्द्वीख्छौदा ! ঐশ্বরিক প্রেরণা কেন আমাকে স্বাধীন রাখিয়া ও ধৰ্ম্মজীবনের উন্নতির পথে লইতে পারিবে না ? বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকের বিভিন্ন প্রকার মতের উল্লেখ ও সমালোচনা দ্বারা ইহাই প্ৰকাশ করিতে চাহিয়াছি যে, আমাদের বিচারশক্তিও ধৰ্ম্মবুদ্ধি ভ্ৰান্তিশীল হইলেও তাহারা প্রতি মুহুর্তে যাহাকে সত্য ও কর্তব্য বলিয়া নির্দেশ করে, তাহাই আমাদের পক্ষে অবলম্বনীয়, এবং তদুপরেই আমাদের ধৰ্ম্মজীবনকে প্রতিষ্ঠিত রাখিতে হইবে। এ ভিত্তি সময়ে সময়ে সংশয়াকুল হইলে ও গত্যন্তর নাই। বিশেষ চিন্তা করিয়া দেখা গিয়াছে, মানবের ধৰ্ম্মজীবনকে এ ভিত্তি হইতে তুলিয়া যাহারা অপর কোনও ভিত্তির উপর স্থাপনের প্রয়াস পাইয়াছেন, তাহারাই মানব-জীবনকে দুৰ্গতি প্ৰাপ্ত করিয়াছেন ; মানবাত্মার এবং মানবসমাজের উন্নতি ও বিকাশের পথে মহা অগািল স্থাপন করিয়াছেন ; এবং চিন্তা ও সাধনার একতা স্থাপনে মহাপ্ৰয়াসী হইয়াও একতা স্থাপন করিতে সমর্থ হন নাই। রাত্রিকালে তোমার দ্বারে যে কুকুর শয়ন করিয়া থাকে, তাহাকে আফিং খাওয়াইয়া যদি ঘুম পাড়াও, তবে যেমন তোমার ঘরে চুরি হইবার সম্ভাবনা, তেমনি মানবাত্মার স্বাধীনতা ও বিচার শক্তিকে হরণ করিয়া যদি ধৰ্ম্মের ভিত্তি স্থাপন কর, তবে ধৰ্ম্মধন অপহৃত হইবার সম্ভাবনা। তবে কি ভ্ৰান্তিশীল মানব সম্পূর্ণরূপে আপনার উপরেই নির্ভর করিতেছে ? গুটিপোকার গুটি যেমন তাঁহারই দেহ বিনিঃস্থত তেমনি ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় তাবিত ব্যাপার কি কেবল মানবেরই বুদ্ধি-প্রসূত ? ঐশ্বরিক