পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r अग्छीदन् । পাইবেন যে, প্ৰায় সর্বত্রই মানবের পতনের এই ক্ৰম । একবার আমরা দুইজন বন্ধুতে একত্র হইয়া একটী কারাগার পরিদর্শন করিতে গিয়াছিলাম। আমার বন্ধুর পরিধানে সন্ন্যাসীর বেশ, গৈরিক বস্ত্র ছিল। আমরা কারাগারের অপরাপর বিভাগ পরিদর্শন করিয়া অবশেষে যে বিভাগে সর্বাপেক্ষা গুরুতর দণ্ডে দণ্ডিত কয়েদীগণ বাস করিতেছিল, সেই বিভাগে গমন করিলাম । আমরা গিয়া দণ্ডায়মান হইবামাত্র একজন কয়েদী আমার সন্ন্যাসী বন্ধুর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়াই বালকের ন্যায়। উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিতে আরম্ভ করিল। অনেক সাস্তুনা করিয়া কারণ জিজ্ঞাসা করাতে জানা গেল যে, সে হতভাগ্য ব্যক্তি ও এক সময়ে ঐ রূপ গৈরিক বস্ত্ৰধারী সন্ন্যাসী ছিল । সেই অবস্থাতে একটা স্ত্রীলোক সৰ্ব্বদা তাহার নিকট যাতায়াত কঙ্কিত । অল্পে অল্পে তাহার প্রতি সন্ন্যাসীর আসক্তি জন্মে। তৎপরে ঈষা বশতঃ সেই স্ত্রীলোককে হত্য করে । তিন্নিবন্ধন চিরজীবনের জন্য দ্বীপান্তর বাসের আদেশ হইয়াছে। সে ব্যক্তি যখন আমাদের নিকট নিজ চরিত্র বর্ণন করিতেছিল, তখন গীতাকার যদি উপস্থিত থাকিতেন, তাহা হইলে আমাদিগকে লক্ষ্য করিয়া নিশ্চয় বলিতেন, দেখ, আমার উক্তির উজ্জ্বল প্ৰমাণ এইখানে দৰ্শন কর ; দেখ এ ব্যক্তি ধৰ্ম্মসাধনাৰ্থ সন্ন্যাস-ব্ৰত লইয়াছিল ; কিরূপে আসক্তি বশতঃ ক্রোধের অধীন হইয়া নিজের লক্ষ্যভ্ৰষ্ট হইল ! কিন্তু অপর একটি প্রশ্ন বিচার করিতে এখনও অবশিষ্ট রহিয়াছে। যে আসক্তি বশতঃ মানুষ পতিত হয়, সেই