পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেনাহং নামৃত স্যাম কিমহং তেন। কুৰ্য্যাম । 39 সমুদায় লোক উৎসন্ন যাইবে ; বর্ণসঙ্কর ঘটিবে ও সমুদায় প্ৰজা : বিনষ্ট হইবে। অতএব অজ্ঞেরা কৰ্ম্মে আসক্ত থাকিয়া যে ভাবে কৰ্ম্মের আচরণ করে, জ্ঞানিগণ অনাসক্ত থাকিয়া লোক রক্ষার জন্য সেই ভাবেই কৰ্ম্মের আচরণ করবেন; কৰ্ম্মাসক্ত । অজ্ঞ ব্যক্তিদিগের মতিভেদ ঘটাইবেন না ; কিন্তু নিজে অনাসক্তভাবে কৰ্ম্মের আচরণ করিয়া তাহাদিগকে কৰ্ম্মে নিযুক্ত রাখিবেন ।” ইহা সকলেই জ্ঞাত আছেন যে বর্তমান শিক্ষিত হিন্দু সমাজে বহু সংখ্যক ব্যক্তি এই ভাবে কৰ্ম্ম করিয়া থাকেন। তাহারা নিজে ধৰ্ম্মের বিধি ব্যবস্থাতে বিশ্বাস না করিয়াও কেবলমাত্র লোক রক্ষার আশয়ে ধৰ্ম্মের সেবা করিয়া থাকেন। প্রাচীন রোম ও গ্রীসের ইতিবৃত্তের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেও দেখিতে পাই যে, ঐ সকল দেশের উন্নতি ও সভ্যতার সময়ে শিক্ষিত ব্যক্তিগণ যখন শিক্ষিত দলের মধ্যে থাকিতেন, তখন পরস্পরে অজ্ঞ প্ৰজাকুলের ধৰ্ম্মবিশ্বাস ও ধৰ্ম্মাচরণকে উপহাস ও বিন্দ্ৰৰূপ করিতেন, কিন্তু কাৰ্য্যকালে তাহারাই দেব মন্দিরে গিয়া দেবমূৰ্ত্তির সমক্ষে প্ৰণত হইতেন, এবং ধৰ্ম্মের বিধি ব্যবস্থা সকল পালন করিতেন । তঁহাদের মনে এই ভাব ছিল যে ধৰ্ম্মের ঐ সকল বিধি ব্যবস্থা অজ্ঞ প্ৰজাপুঞ্জের পক্ষে ভাল। এইরূপে অপরকে দৃষ্টান্ত প্রদর্শনের জন্য ধৰ্ম্মাচরণ করার মধ্যে যে কোনও যুক্তি নাই, তাহা বলিতেছি না, তবে এইমাত্ৰ বক্তব্য যে এভােব নিকৃষ্ট, ধৰ্ম্মকে এপ্রকার ভাবে সেবা করিলে ধৰ্ম্মের অপমান করা হয়। অনেক কাজ মানুষ