পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थर्स्यौदन । সাক্ষাৎভাবে ধৰ্ম্মোপদেশ লাভ করিবার কোনও উপায় নাই বলিলে অত্যুক্তি হয় না। অথচ প্রচলিত ধৰ্ম্মের ভাব সকল এদেশীয় জনগণের মনে যে প্রকার বদ্ধমূল এরূপ অন্যত্র দেখা যায় না । ইহা ধৰ্ম্মের নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়া সকলের নীরব শিক্ষার ফল মাত্র । অতএব ধৰ্ম্মের নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়া সকলকে কখনই হেয় মনে করা যাইতে পারে না । ধৰ্ম্মকে সামাজিক ভাবে সাধন করিতে” গেলেই ঐ সকল ক্রিয়াকে অবলম্বন করা অপরিহাৰ্য্য হইয়া পড়ে। কিন্তু এ বিষয়ে একটা বিপদ আছে ; তাহা সৰ্ব্বদাই মনে রাখা কৰ্ত্তব্য। মানুষ বাহিরের এই ক্রিয়া সকলকে ধৰ্ম্মসাধনের উপায়স্বরূপ মনে না করিয়া অনেক সময়ে লক্ষ্য-স্বরূপ মনে করিয়া থাকে। তখন মানুষের দৃষ্টি ভক্তিরূপ অন্তঃস্থিত সার পদার্থের প্রতি না থাকিয়া অসার বাহিরের गिन्यूँदै ୬ifଠି নিবদ্ধ হয় ; এবং মানুষ কতকগুলি প্ৰাণবিহীন ক্রিয়ার আচরণকেই ধৰ্ম্ম বলিয়া মনে করে । জগতের সকল ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়কেই এই ভ্ৰমে পতিত হইতে দেখা গিয়াছে । এদেশে এমন শত সহস্ৰ ব্যক্তি রহিয়াছেন, যাহারা বিধিপূর্বক নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়া সকল সম্পাদন বিষয়ে অতিশয় মনোযোগী, অথচ সুবিধা পাইলে বিধবার দুই বিঘা জমি কাড়িতে বা আবশ্যক হইলে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে প্ৰস্তুত !! তাহারা- নিত্য মালা জপিতেছেন, মালার কািন্টকে কন্টিকে অঙ্গুলি সকল ঘুরিতেছে, অথচ মন তাহার ত্ৰিসীমার মধ্যে থাকিতেছে না । মন হয়ত তখন সংসারের কোনও প্রকার ক্ষুদ্র চিন্তায় লিপ্ত হইয়া