পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুতাপ ও প্রেমের ধৰ্ম্ম । as সকলের দুৰ্গতি দেখিয়া তাঁহাদের মন একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছিল এবং প্ৰত্যেকেই বলিয়াছিলেন,--“বাহিরের ক্রিয়াকলাপে, যাগযজ্ঞে ধৰ্ম্ম পাওয়া যায় না।” দেশ মধ্যে প্রচলিত ধৰ্ম্মের অবস্থা দেখিয়া জন বলিলেন,-“হে নির্বোধি ও পাপাচারী লোক সকল ! তোমরা বাহিরের ক্রিয়াকলাপ সকল বর্জন কর ; ও সকলে সন্তুষ্ট হুইও না ; কিসে হৃদয়-পরিবর্তন হয় তাহার চেষ্টা কর ; তোমরা অনুতাপ কর, কারণ স্বৰ্গরাজ্য স্বদেশীয় লোক সকলকে দেখাইয়া যীশু আপনার শিষ্যদিগকে উপদেশ দিয়াছেন,-“তোমরা ঐ সকল কপটী লোকদিগের ন্যায় হই ও না । তোমরা দ্বিজাত্মা হইয়া শিশুদিগের ন্যায় হও ।” তান্ত্রিক অনুষ্ঠান সকল দর্শন করিয়া চৈতন্য বলিলেন “ঐ সকল বাহিরের ব্যাপারে কিছুই হইবে না। ভক্তি বিনা মুক্তি নাই ; হরিনাম কর, হরিনাম কর।” এই হরিনামকে তিনি হৃদয়পরিবর্তনের একটি উপায় স্বরূপ অবলম্বন করিলেন । সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, সকল প্রেমের ধৰ্ম্ম সাধকের চিন্তা ও ভাব একই অভিমুখে ; সকলেরই উদ্দেশ্য হৃদয়-পরিবর্তন। অনুতাপই হৃদয়-পরিবর্তনের প্রধান উপায় স্বরূপ। এই দ্বার দিয়া ভক্তিরাজ্যে প্ৰবেশ করিতে হয়। যদি তুমি হৃদয়পরিবর্তন করিতে চাও, যদি তুমি ভক্তি চাও, তবে সরল অন্তরে অনুতাপ কর ; স্বীয় অপরাধের জন্য ঈশ্বর-চরণে পড়িয়া ক্ৰন্দন কর। অনুতাপ রূপ দ্বার দিয়া প্ৰবেশ না করিলে এ