পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাল্পে সুখমন্তি । V) বিকার প্রাপ্ত হয়। তখন লোকে তাহাদিগকে ঘুণ করিতে থাকে। মানবাত্মাকে উদার, মহৎ ও পবিত্ৰ বিষয়ের চিন্তা হইতে বিরত করিয়া ক্ষুদ্র বিষয়ের চিন্তাতে নিরন্তর রাখিলে তাহারও দশা ঐ প্রকার হইয়া থাকে। সেরূপ আত্মার বলবীৰ্য্য, শ্ৰী, সৌন্দৰ্য্য সমুদায় অন্তহিত হয়। স্ত্রী পুত্র পরিবারাদি লইয়া জনসমাজে বাস করিতে গেলেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে মনোনিবেশ করা অনিবাৰ্য্য। প্ৰত্যেক দিন আমাদের হৃদয় দ্বারে নব নব চিন্তাকে আনয়ন করে, প্ৰত্যেক দিন নব নব অভাব ঘটিতে থাকে, সুতরাং আমাদিগকে বাধ্য হইয়া সেই সকলে মনোনিবেশ করিতে হয় । কেবল তাহা নহে, সে সকলের প্রতি মনোনিবেশ করা আমাদের পক্ষে কৰ্ত্তব্য। এক অর্থে সে সমুদায় আমাদের ধৰ্ম্মসাধনের অঙ্গস্বরূপ ; কিন্তু দুঃখের বিষয় এই আমরা সকল সময়ে তাহাদিগকে আমাদের ধৰ্ম্মসাধনের অঙ্গস্বরূপ বলিয়া মনে করিতে পারি না । অনেক সময়ে ঐ সকল বিষয়ে এরূপ আসক্ত হুইয়া পড়ি যে, তাহাদের অতিরিক্ত যে আরও কিছু আছে, মন যেন তাহা বিস্মৃত হইয়া যায়। জীবন ধারণের উচ্চ লক্ষ্য সকল বিস্মৃতি হইয়া মন জীবনধারণের উপায় গুলিকেই লক্ষ্য বলিয়া অবলম্বন করে। ইহাকেই বলে বিষয়াসক্তি। বিষয়াসক্তিতে মানবআত্মাকে অতিশয় ক্ষুদ্র করিয়া ফেলে। এরূপ ব্যক্তির চিন্তা ক্ষুদ্র, আকাঙক্ষা ক্ষুদ্র, দৃষ্টি ক্ষুদ্র, আশয় ক্ষুদ্র, বন্ধুতা ক্ষুদ্র, একদিকে বিষয় যেমন মানুষকে ক্ষুদ্র করে, অপর দিকেলেই