পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i sve ধৰ্ম্মজীবন । কাল কাঁটাইতেছে ! এই অনুতাপের গভীরতা কেবল মানবেই সম্ভব। মানব-চিত্তের অনুতাপ-যাতনার প্রতি দৃষ্টপাত করিলে বোধ হয় যেন পশুপক্ষিগণ মানবের অপেক্ষা সুখী ; তাহারা বর্তমান দুঃখই ভোগ করে, উপস্থিত যাতনাই তাহাদিগকে ক্লেশ দেয় ; পশ্চাতে অতীত কালের দুস্কৃতি স্মরণ করিয়া, অথবা ভবিষ্যতের আশঙ্কিত দুঃখের সম্ভাবনা করিয়া তাহদিগকে মানবের ন্যায় মান হইতে হয় না ; কিন্তু তাঁহা নহে, বিধাতা একদিকে যেমন মানবকে অনুতাপের গভীরতার মধ্যে ডুবিবার অধিকারী করিয়াছেন, অপরদিকে আত্ম-প্ৰসাদের উচ্চতম শৃঙ্গে আরোহণ করিবার অধিকারী ও করিয়াছেন । পশুগণ আমাদিগের ন্যায় অনুতাপ-যাতনা সহ করে না, কিন্তু আমাদিগের ন্যায় পুণ্যের আনন্দ ও সন্ত্যোগ করিতে পারে না । অনুতাপের গভীরতার ন্যায় আত্ম পাসাদের উচ্চতাও কেবল মানবেই সম্ভব । আত্মপ্রসাদের একটী দৃস্টান্ত দিতেছি। দুরন্ত শত্ৰুগণ মহাত্ম যীশুকে যখন ক্রুশবিদ্ধ করিয়া হত্যা করে, তৎপুর্বে তিনি এই বলিয়া সন্তোষ প্রকাশ করিয়ছিলেন যে, ঈশ্বর তাহার প্রতি যে ভার অর্পণ করিয়াছিলেন তাহা সমাধাগোহাঁইয়াছে। কেহ কি ইহা কল্পনাতেও আনিতে পারেন যে, কোন ও ইত্যর প্রাণী মৃত্যুর পূর্বে এই ভাবিয়া প্ৰসন্ন হইতেছে যে, তাহার জীবনে কর্তৃবা সাধিত হইয়াছে, তাহার প্ৰতি যে ভার ছিল তাহ। সমুচিতরূপে নিৰ্বাহ হইয়াছে ! . তৃতীয়তঃ একটী দায়িত্ব-বোধ বা কৰ্ত্তব্য-জ্ঞানের দৃষ্টান্তের