পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चकि. उत्र । 9v) র্তাহার সহচর অনুচর করিতে চাহিতেছেন। তিনি বলিতেছেন,-“উঠ, উঠ, এই কাজটা করিতে হইবে, ত্বরায় আমার সহায় হও, তোমার সাধ্যে যাহা হয় তুমি কর, আমার যাহা করিবার আমি করিতেছি ।” আমাদের ধৰ্ম্মজীবনের উন্নতি বিষয়েও তাহার সেই কথা । আবার ব্যক্তিগত জীবনে যেরূপ আত্ম-প্ৰভাব ও দেব-প্ৰসাদ উভয়েরই প্ৰয়োজন, সামাজিক জীবনেও সেইরূপ । সমাজের উন্নতি ও কল্যাণ যদি দেখিতে চাও, তবে অবিশ্রান্ত ঈশ্বর-চরাণে প্রার্থনা কর। কিন্তু প্রার্থনাতে অধিকারী হইবার পূর্বে নিজ নিজ জীবনের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের যাহা কৰ্ত্তব্য আছে, প্ৰত্যেকের নিজ সাধ্যে যাহা হয় তাহা সম্পাদন কর। দৃষ্টান্ত স্বরূপ মনে কর, তুমি কি সমাজ মধ্যে সৰ্ব্বত্যাগী পুরুষ সকল দেখিতে চাহিতেছ? তবে অগ্ৰে আপনাকে ঈশ্বর-চরণে অর্পণ করিয়া পরে গ্রার্থনা কর, আমাদিগের মধ্যে সর্বত্যাগী পুরুষ সকলকে প্রেরণ করা। তুমি কি সমাজ মধ্যে আরও ভ্ৰাতৃপ্ৰেম দেখিতে চাহিতেছ ? তবে নিজের হৃদয় পরীক্ষা কর, যদি সেখানে অক্ষমা খাকে, তাহাকে বিদায় কর, নিজে ক্ষমা কর, যাহাদিগকে বিরুদ্ধ চক্ষে দেখিতেছি। র্তাহাদিগকে প্রীতির চক্ষে দেখিবার চেন্টা কর, অপরের বিরোধ ভঞ্জনে ও প্রীতির স্থাপনে উৎসাহী হও, আর সেই সঙ্গে প্রার্থনা কর,-“আমাদিগকে ক্ষমাশীল কর, আমাদিগের মধ্যে শান্তি ও প্রীতিকে স্থাপন কর।” ইত্যাদি । কিন্তু এই যে আত্ম-প্ৰভাব ও দেব-প্ৰসাদের কথা বলা যাইতেছে, ইহার মধ্যে একটী বিষয়ের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি