পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R ধৰ্ম্মজীবন । তিনিও আমাদিগকে সুখ, আমোদ, খেলা দিয়া আমাদিগের দ্বারাই তাহার বিশ্ব রাজ্যের ইষ্ট সিদ্ধ করিয়া লন। তিনি আর একভাবেও আমাদের কৰ্ম্মাধ্যক্ষ হইয়া রহিয়াছেন । আমরা স্বাধীনভাবে যতই কাজ করি না কেন, আপনাদের কার্স্যের দ্বারা নিজের বা অপরের যতই সুখ বা দুঃখ উৎপন্ন করি না কেন,-তিনি আমাদের কার্স্যসমষ্টির চরমগতিকে আশ্চর্স্যভাবে নিয়মিত করিয়া কল্যাণের অভিমুখে প্রেরণ করিয়া থাকেন। যেমন ধানুকীর ধনু হইতে বাণ নিক্ষিপ্ত হইলে, সেই বাণ যতই বেগে, যতই উৰ্দ্ধে যতই সরল বা তিৰ্য্যকভাবে ধাবিত হউক না কেন, যেমন মাধ্যাকর্ষণের দূরতিক্রমণীয় নিয়মের প্রভাবে তাহাকে বক্রাকার রেখাপথে যাইতেই হয়, তেমনি যতই এ জগতে নড়ি, চড়ি কাৰ্য্য করি না। কেন, সেই কৰ্ম্মাধ্যক্ষ পুরুষের দুরতিক্রমণীয় ধৰ্ম্ম নিয়মের প্রভাবে আমাদের কাৰ্য্য তাহারই শাসনাধীন হয় । তৃতীয়তঃ তিনি আর এক ভাবে আমাদের কার্স্যোর উপরে অধ্যক্ষরূপে প্ৰতিষ্ঠিত থাকেন । মানবাত্মার পক্ষে নিয়ম। এই, যে শাসনশক্তি মানবের নিজ আত্মা ও নিজ ইচ্ছা হইতে সমুদ্ভূত হয়, ও তাঁহার নিজের কাৰ্য সকলকে নিয়মিত করে, তদ্বারা মানব বলীয়ান ও উন্নত হয়, কিন্তু যে শাসন শক্তি বাহির হইতে আসে ও মানবের কার্যাকে সংস্কৃচিত করে, তদ্বারা মানবেব দুর্বলতা আসে। কেবল এক স্থলেই এই নিয়মের ব্যতিক্রম দৃষ্ট হয়। একটী মাত্ৰ স্থল আছে, যেখানে মানুষ পূর্ণ অধীন হইয়াও পূৰ্ণমাত্রায় স্বাধীন থাকে। তাহা