পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांन्त्र छोदन । r") ইন্দ্ৰিয়গ্ৰাহা নহে, কেবল আত্মার ভাবময় সৃষ্টি মাত্র, তাহাতেও মানব এতদূর আসক্ত হইতে পারে যে কোনও জীব অপর জীবের প্রতি এত আসক্ত হইতে পারে না । এই আধ্যাত্মিকতা মানব-প্রকৃতির এক গুঢ় রহস্য। মহাত্ম যীশুর প্রচারিত স্বৰ্গ রাজ্যের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা যাইতে পারে। এই স্বৰ্গ রাজ্যের প্রকৃতি যে কি তাহা ধারণা করা কঠিন । এই মাত্র বুঝা যায় যে ইহা মানব সমাজের একটী আকাঙিক্ষত উন্নত অবস্থা মাত্র, যাহাতে মানব ঈশ্বরের অধীন হইবে । কিন্তু এই সূক্ষ্য অতীন্দ্ৰিয় পদার্থের প্ৰতি যীশুর মনের কি প্ৰগাঢ় অভিনিবেশ ! এই স্বৰ্গ রাজ্য পৃথিবীতে আনিবার জন্যই তিনি লালায়িত ছিলেন। আহারে বিহারে নিয়তই এই চিন্ত! তাহার হৃদয়কে অধিকার করিয়া থাকিত ; এবং ইহার জন্যই তিনি জীবন উৎসর্গ করিলেন। বুদ্ধের নির্বাণ ধৰ্ম্ম কি ? তাহা তিনিই জানিতেন। কিন্তু দেখিতে পাই যে ইহার জন্যই তিনি সমস্ত পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। রাজপুত্র হইয়া ভিক্ষু হইয়াছিলেন। সর্বস্ব পরিত্যাগ করিয়া, উঠতে বসিতে নিদ্রাতে জাগরণে সৰ্ব্বদাই ঐ বিষয়। ইহা বলিলে কিছুই অত্যুক্তি হয় না যে মানব ইতিবৃত্তে যে সকল মহাজনের জীবনচরিত আমরা দেখিতে পাই, তাহারা সকলেই এইরূপ কোন না প্ৰবল আকাঙ্ক্ষার গুণেই মহত্ত্ব লাভ করিয়াছিলেন । যে হৃদয়ে কোনও মহৎ আকাঙ্ক্ষা থাকে না, তাহা জীবনের উচ্চ ভূমিতে উঠিতে পারে না ; আনিবাৰ্য্য রূপেই ধূলাতে লুটায়। যে পরিমাণে