পাতা:ধর্ম্মজীবন (ষষ্ঠ খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R vo ধৰ্ম্ম-জীবন । বুকে চাপিয়া ধরিতেছে; বিজ্ঞানের হস্তে দংশন করিতেছে; আপনার মৃত শিশুটীকে জীবন্ত বলিয়া রক্ষা করিতেছে ; শেষে মৃত বস্তুগুলি টুকরা টুকরা হইয়া খসিয়া পড়িয়া যাইতেছে। বানরীর মৃত শিশু রক্ষা যেমন মাতৃ-মেহের নিদর্শন ; ধৰ্ম্মসম্প্রদায় সকলের প্রাচীনত রক্ষাও তেমনি মানবের স্বাভাবিক १घ्रींप्रुद्रांद्र निश्र्विंन् । কিন্তু প্ৰাচীনের প্রতি অতিরিক্ত আস্থা অস্বাভাবিক স্থিতিশীলতার কারণ হইলেও আমরা কি প্ৰাচীনকে বিস্কৃত হইয়া বা অগ্ৰাহা করিয়া চলিতে পারি ? যেমন কলিকাতার সন্নিকটবৰ্ত্তী গঙ্গা প্রবাহের সন্নিধানে দাড়াইয়া কেহ হরিদ্বারের সন্নিকটবৰ্ত্তী প্রবাহকে অগ্ৰাহা করিতে পারে না, কারণ সেই ধারাই এই সহরের সমীপগামিনী পারার আকাব ধারণ কবিয়াছে, তেমনি হে মানব, তুমি যে কিছু জ্ঞানসম্পদের অধিকারী হইয়াছ,যে কিছু তত্ত্ব দেখিতেছি, বা শিখিতেছি, তন্মধ্যে প্ৰাচীনদের শ্রমের ফল যে প্ৰবেশ করিয়াছে; এবং বহু বহু শতাব্দী ও বহু বহু দূর হইতে জ্ঞানিগণ যে তোমার জ্ঞানাঙ্গ পোষণ করিয়াছেন ; তুমি তাহা অস্বীকার করিতে পার না। তুমি যে প্রাচীন অপেক্ষ আপনাকে অনেকাংশে শ্রেষ্ঠ বলিয়া দেখিতেছি, ইহাও প্ৰাচীনদিগের সাহায্যে। শিশু যেমন পিতার স্কন্ধোপরি বসিয়া বলে, “বাবা দেখ আমি তোমা অপেক্ষা কত বড়,” ইহা তেমনি। একবার কল্পনার সাহায্যে মনে কর, রজনী প্ৰভাত হইবার পূৰ্বেই যদি বিষয়, বাণিজ্য, শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান প্রভৃতিতে প্ৰাচীনের যে কিছু কীৰ্ত্তি আছে, সমুদয় বিলুপ্ত হয়, এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্মৃতিও বিলুপ্ত হয়, এবং কল্য প্রাতে আমাদিগকে নব জগতে নবজীবন আরম্ভ করিতে হয়, তাহা হইলে কিরূপ অবস্থা ঘটে । প্রাচীন হইতে বর্তমানকে কখনই বিচ্ছিন্ন করা যাইতে পারে না । সুতরাং প্রাচীনের প্রতি সমুচিত আস্থা ধৰ্ম্ম জীপনের প্রধান পরিপোষক । যাহারা প্রাচীনের প্রতি অতিরিক্ত আস্থাবান তাহারা বৰ্ত্তমানের প্রতি অনাস্থাসম্পন্ন । তাতা ও যুগ ধৰ্ম্মের বিরোধী ভাব। মানব-জীবনরূপ তরু হইতে বৰ্ত্তমানে যে সকল শ্রেষ্ঠ ও উৎকৃষ্ট ফল উৎপন্ন হইয়াছে, যুগপৰ্ম্ম সে সকলকে ও প্রীতি ও কৃতজ্ঞতার চক্ষে দেখিয়া থাকেন। তাহাতেই প্ৰমাণ মানব-জীবন এক মঙ্গলময় পুরুষের হস্তুে; তিনি ইহাকে উন্নত হইতে উন্নততর