, or " > ধৰ্ম্মতত্ত্বৰিষেক । ন। এই তত্ত্বটা বোধগম্য নয় অথচ আমর। তাছাতে না বিশ্বাস করিয়া থাকিতে পুরি না। বীজগণিতে অনন্তরাশি সম্বন্ধীয় সিদ্ধান্ত সকল বুদ্ধির অগম্য তথাপি সে সকল সিদ্ধান্তে আমরা বিশ্বাস না করিয়া থাকিতে পারি না। তবে ব্রহ্মবিদ্যার তত্ত্ব সকল্প বুদ্ধির অতীত হইলেও সে সকল আমরা বিশ্বাস কেন না করিব ? আমরা কিছুই সম্যক্ত রূপে জানিতে পারি না । মাধ্যাকর্ষণ, তড়িতাকর্ষণ, চৌম্বকাকর্ষণ, জীবনী শক্তি এসকল বিষয়ক প্রকৃত তত্ত্ব আমরা সম্যক্ রূপে জানিতে পারি না অথচ আমরা তাহাতে না বিশ্বাস করিয়া থাকিতে পারি না। সেইরূপ ঈশ্বরের প্রকৃতি সম্বন্ধীয় তত্ত্ব আমরা সম্যক্ জানিতে পারি না অথচ আমরা তাহাতে না বিশ্বাস করিয়া থাকিতে পারি না । কেহ কেহ এরূপ বলেন যে যখন ঈশ্বর বিষয়ে মনুষ্যের মধ্যে মতের বৈচিত্র্য দৃষ্ট হইতেছে তখন ব্রহ্মবিদ্যার নিশ্চয় কি ? তাহার উত্তর এই—যদি মতবৈচিত্র্য জন্য ব্রহ্মবিদ্যা অপ্রামাণিক বলিয়া গণ্য হয় তবে বিজ্ঞান শাস্ত্রীয় অনেক তত্ত্ব সমন্ধে মত-বৈচিত্র্য জন্য বিজ্ঞান শাস্ত্রও অপ্রামাণিক ৰলিয়া গণ্য হইতে পারে। 嘛 কেহ কেহ এইরূপ বলেন যে সকল ধৰ্ম্ম-মতেই ভ্রম দৃষ্ট হয় অতএব ধৰ্ম্ম বিশ্বাসযোগ্য নহে । র্যাহারা এরূপ বলেন র্তাহার বিবেচনা করেন না যে বিজ্ঞান শাস্ত্রে পূর্বে অনেক ভ্রম ছিল অদ্যাপিও আছে তজ্জন্য বিজ্ঞান শাস্ত্র যেমন পরিত্যাজ্য মহে সেইরূপ মনুষ্যের ধৰ্ম্ম মতে ভ্রম থাকা জন্য ধৰ্ম্ম পরিত্যাজ্য নহে । . . . .
