পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া যখন শিব শব্দেঃ

  • ং , ধৰ্ম্মতত্ত্ব।

পক্ষের আরাধনা ছিল, তখন প্রেমস্বরূপের আরাধনাকালে জীব, জগৎ ও সাধক, এ তিনের সম্বন্ধঘটিত কথা ব্যাখ্যার মধ্যে আসিলে, অমুক ব্যক্তির আরাধনা ৷ বহুিমুখীন এই বলিয়া দোষারোপ হইত, এখন আর সেরূপ দোষ দেওয়ার কোন | কারণ রহিল না। যদি সাধক সকলের সঙ্গে আপনাকে ব্ৰহ্মের মধ্যে অবস্থিত। দেখিতে পান তাহা হইলে বহিমুখীনতার দোষ কিছুতেই ঘটিতে পারে না ! / বুদ্ধি। আরাধনায় যে প্রবচন উচ্চারণ করা হয়, তন্মধ্যে প্রেম শব্দ নাই, সকল উপনিষৎ খুজিয়া প্রেম শব্দ পাওয়া যায় না, এরূপ স্থলে ‘শিব’ বলিতে যে প্রেমই বুঝায় ইহা কি রূপে বিশ্বাস করিব ? বিবেক । উপনিষদে এক স্থলে হয়তো একটি স্বরূপবাচক শব্দমালৈ উল্লিখিত হইয়াছে, সেখানে সে স্বরূপটির কোন বাখ্যা নাই। সেই স্বরূপের ব্যাখ্যা অন্য উপনিষদ হইতে সংগ্ৰহ করিয়া সে স্বরূপে কি বুঝায় বুঝিতে পারা যায়। “শান্তিং শিবমদ্বৈতং” এ বাক্যটি মাণ্ডুকোপনিষদ হইতে পরিগৃহীত। এখানে ব্ৰহ্মকে প্ৰপঞ্চের অতীতরূপে গ্ৰহণ করিয়া কুঁহাকেই শান্ত ( প্ৰপঞ্চাতীত ), শিব ও অদ্বৈত বলা হইয়াছে। প্ৰপঞ্চের অতীত হইয় তাহার সঙ্গে না মিশিয়া তিনি ‘শিব’, এরূপ বলতে এই বুঝাইতেছে যে, তিনি সকলের নিত্য কল্যাণ বিধান করিতেছেন, অথচ তাহাতে তিনি জগৎ ও জীলের সহিত লিপ্ত হইয়া পড়িতেছেন না ; নির্লিপ্ত ভাবেই নিৰ্ব্বিকার ভাবেই সকল করিতেছেন। মাণ্ডুকোপনিষদের যে স্থল হইতে এই বা কাটি গৃহীত হইয়াছে, তাহার পূর্ববস্ত্রী বাকাগুলির সঙ্গে । it." ইহার যে সম্বন্ধ এই শ্রুতিতে নির্দিষ্ট আছে, তাতাতে পরমাত্মা সৰ্ব্বগত হইয়াও সৰ্ব্বাতীত ইহাই বুঝাইতেছে। সৰ্ব্বাতীত ও সৰ্ব্বগত এ দুইটি ভাব একত্র করিলে ঈশ্বরের সর্বাস্তুর্ভাবকত্ব হৃদয়ঙ্গম হয়। তিনি সকলের ভিতরে থাকিয়াও তখনই সকলের অতীত হন, যখন আপনার ভিতরে সকলকে নিবিষ্ট করিয়া রাখেন তাহার বাহিরে একটি সামান্ত অণুও থাকিতে পারে না। সৰ্ব্বাস্তুর্ভাবকত্ব । বলিতে ইহাই বুঝাইয়া থাকে। অনন্তস্বরূপের অন্বয়পক্ষের ব্যাখ্যায় ইহাই । প্ৰতিপন্ন হইয়াছে। মাণ্ডুকোপনিষদের পূর্বাপর বাক্যগুলির এই প্রকারে অন্বয় | শৰশব্দের ব্যাখাস্বরূপ অন্ত উপনিষদের বাক্যগুলি ইহার সঙ্গে মিলাইয়া লণ্ডয়া যায়, তখন শিবশকে যে প্রেম বুঝায় তাহাতে আর কোন সন্দোঙ্গ । . ; * 3° fier: