পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইরূপে “আমি” শব্দের বাচ্য হন, তেমনি ‘তুমি’ শব্দেরও বাচ্য হন। “সেই (ব্রহ্মই ) তুমি’ ইত্যাদি শ্রুতি ব্ৰহ্মকে ‘তুমির সঙ্গে এক করিয়াছেন। যখন এইরূপে সাধক ও ব্রহ্ম এক হইয়া গেলেন, তখন অপরোক্ষ জ্ঞান উপস্থিত হইল । ব্রহ্মের স্বরূপসমূহ ও সুতরাং “আমি” “তুমির” স্বরূপ হইয়া গেল। বৰ্ত্তমান কালের সাধকগণ যোগী ও ভক্ত উভয়ষ্ট, সুতরাং ব্রহ্মকে ‘তুমি’ বলিয়া অপরোক্ষ জ্ঞান রক্ষা করেন এবং সমুদায় স্বরূপ বাচক শ্রুতি গুলিতে তুং ( তুমি) শব্দ উহা করিয়া লন। তুমি উহ্য করিয়া স্বরূপ গুলির অর্থ হইল—“তুমি সত্য জ্ঞান অনন্ত’ 6ाच्ने অমৃত তুমি, যিনি আনন্দ রূপে প্রতিভাত হন’। ‘তুমি শান্ত, শিব, অদ্বৈত” “তুমি শুদ্ধ অপাপবিদ্ধ” “সেই তুমি রসস্বরূপ।” বুদ্ধি । এখন সোজা করিয়া বলিলে বলিয়া বুঝা গেল। প্ৰথমে সোজা। করিয়া বলিলেই তো কি ইত । বিবেক। র্য, তারা সংস্কৃতজ্ঞ তাহারা ঘেরূপে বােঝেন তাহাদিগের জন্য সেইরূপে বলিয়া, তুমি যেরূপে বোঝা সেই রূপে তোমায় বোঝান ক্ষতি কি ? যাউক যাহা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলে তাহার উত্তর দিলাম।

aट प-11 *i? । বুদ্ধি । তোমায় একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, স্বয়ং প্রার্থনা না করিয়া কেহ। কেহ প্রতিদিন কেশবচন্দ্রের প্রার্থনা পাঠ করা উপাসনার অঙ্গ করিয়া লইয়াছেন। কেন ? ইহাতে কি নিজের কিছু প্রার্থনা করিবার নাই, ज्ञेश्ाइं বুঝায় না ? বিবেক। কেশবচন্দ্রের প্ৰাৰ্থন পাঠ আঁর্তাহাদের পক্ষে কোন কালে উচিত নয়, যাহাঁদের সেই প্রার্থনাপাঠে প্রার্থনার স্রোত বন্ধ হইয়া যায়। যে সকল ব্যক্তির কেশবচন্দ্রের প্রার্থনাপাঠে হৃদয়ের দ্বার খুলিয়া না যায়, অধ্যা খুরাজ্যের । নূতন তত্ত্ব তাহার সঙ্গে সঙ্গে হািদয়ে প্রতিভাত না হয়, তঁহাদের পক্ষে প্রার্থনা পাঠ নিষিদ্ধ। প্রার্থনাপাঠে আত্মা উচ্চভূমিতে উত্থান করে, জীবনে কোথায় কি লুকাইয়া আছে প্রকাশ পায়, এবং এটি রূপে লুক্কায়িত বিষয়গুলি দেখিতে পাইয়া श्रुश श्झेंउ ८य প্রার্থনা উখিত হয়, সে প্রার্থনায় আত্মার অবস্থান্তরতা প্ৰাপ্তি ফ্ৰ ষ্টীয়া থাকে। যে সকল ব্যক্তিতে এরূপ ঘটে না, তাহদের পক্ষে উচ্চ সাধকগণের প্রার্থনাপাঠকরা কদাপি শ্রেয়স্কর নহে। ..