পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অঙ্গগুলি এত করিয়া ব্যাখ্যা করিলে কেন ? . . . . . . . বিবেক। ব্যাখ্যা করিলাম কেন, তাতার কারণ প্ৰত্যেক অঙ্গের সঙ্গে । এই সকল যাহাঁদের লক্ষ্য, তাহারা আর প্রার্থয়িতাকে মধ্যবৰ্ত্তী করিলেন কোথায় ? ? বুদ্ধি। যদি প্রতিদিনই পূৰ্ব্বসঙ্কল্প উদ্দীপন ও তৎসিদ্ধির জন্য সাধন চলে, ” তাহা হইলে সিদ্ধি হইল কোথায় ? সিদ্ধি না হইলে কি ক্ৰমে মৃতভােব আসিয়া । উপস্থিত হয় না ? ? বিবেক। সিদ্ধি না থাকিলে সাধন ও যত্ন বৃথা, কিন্তু জানিও সিদ্ধির ও শেষ নাই, সাধন ও যত্নের ও শেষ নাই, নূতন তত্ব সমাগমেরও বিরতি भfहैं । উপাসনার অঙ্গ পার্থক্য { বুদ্ধি । তুমি এ কথা বলিয়াছ, প্রার্থনাতে সাধনের আরম্ভ হয়। আমি বলি প্রার্থনাতে সাধনের আরম্ভ কেন, সাধনের আদি মধ্য অন্তে এক প্রার্থনারই সাম্রাজ্য। উদ্বোধন, আরাধনা, ধ্যান, এ সকলের মধ্যে ও প্রার্থনা বিদ্যমান, কেন না বিনা আকাঙ্ক্ষায় যখন এ সকল অনুষ্ঠিত হয় না, তখন এ সকলের মধ্যে যে প্রার্থনা আছে, তাহাতে আর সন্দেহ কি ? যদি সৰ্ব্বত্র এইরূপে প্রার্থনাই থাকিয়া গেল, তাহা হইলে উপাসনায় এতগুলি ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ করিবার প্রয়োজন কি ? বিবেক। তুমি যে প্রশ্ন করিলে ইহা অতি গুরুতর। আকাজক্ষা যে - প্রার্থনা তাহাতে আর কোন সন্দেহ নাই। আকাঙ্ক্ষা বিনা উপাসনায় কেন, কোন কাৰ্য্যেই প্ৰবৃত্ত হইবার কারণ থাকে না। এক ঈশ্বরই কেবল নিরা কাজক্ষ, ; কেন না। তঁহার কোন অভাব নাই। জীব যখন অভাব গ্রস্ত, তখন তাহার সে অভাব পূরণ করিতেই হইবে। অভাবপূরণ করিতে হইলেই তৎসম্বন্ধে আকাঙ্ক্ষা তো থাকিবেই। অভাবপূরণার্থ আকাঙ্ক্ষা যখন প্রার্থনা, তখন আদি মধ্য অন্তে প্রার্থনা, এ কথা বলিবার সকলেরই অধিকার আছে। : বুদ্ধি। যদি তুমি এ কথা পীকার করিলে, তাহা হইলে ভিন্ন ভিন্ন উপাসনার বলিয়াছি। দেখিতেছি সে বলতে তেমন ফল হয় নাই। অতএব তোমার