পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|| বুদ্ধি। এতো গেল সব বাহিরের কথা । এখন বল, অনন্তস্বরূপের অন্বয়- ] পক্ষের ব্যাখ্যা করিতে গিয়া “যে অমৃত আনন্দ রূপে প্রতিভাত হন’। এ মন্ত্রটির যোগ কি প্রকারে হয় ? বিবেক। সাধকদিশের মুখে ‘ভূম মহান পরম পুরুষ’ এরূপ কথা অনেকবার শুনিয়া থাকিবে। ‘ভূমা” শব্দটি বহু-শব্দ হইতে সমুৎপন্ন। অনন্তের ভিতরে - বহু অন্তর্ভূত হইয়া রহিয়াছে। “ভূমাই সুখ, অল্লেতে সুখ নাই’ প্রাচীন সাধকগণ যখন এ কথা বলিলেন, তখন অনন্তের ভিতরে অখণ্ড ভাবে বহুর অন্তর্নিবেশ দেখিয়া সুখ সমুপস্থিত হয়, ইহাই আসিয়া পড়িতেছে। জগৎ ও জীব বহুত্ব প্ৰদৰ্শন করে। এই বহুরূপধারী জগৎ ও জীব অনন্তের বাহিরে নহে, অনন্তের ভিতরে। পূর্বেই বলিয়াছি “যে অমৃত আনন্দরূপে প্ৰতিভাত হন’। এ শ্রুতিতে পৃথিব্যাদিতে ব্ৰহ্ম আনন্দ রূপে প্ৰকাশমান, ইহাই আছে। এই যে অখণ্ডভাবাপন্ন বহুত্বের ভিতরে আনন্দের প্রকাশ, ইতারই সঙ্গে ‘ভূমাই সুখ’ এ শ্রুতির যোগ । অনন্তের আরাধনা করিতে গিয়া যখন তন্মধ্যে नतळाझे অনুভূত হয়, তখন সাধক। এইভাবে তঁাহার আরাধনা করে,-“আমরা সকলে তোমাতেই বাস করিতেছি, তোমার ক্রোড় ছাড়িয়া বাহিরে কোথাও আমরা পদাৰ্পণ করিতে পারি না, তুমিই আমাদের বাসগৃহ। সমুদ্রের ভিতরে যেমন মৎস্য, আমরা তোমার ভিতরে সেইরূপ সৰ্ব্বদা বিচরণ করিতেছি। তোমার অনন্ত ঐশ্বৰ্য্য বিস্তার } আমাদেরই জন্য। অনন্তকাল আমরা এই সকল ঐশ্বৰ্য্য সম্ভোগ করিব। আমরঃ - ক্ষুদ্র হইয়াও অনন্ত কাল তোমার অনন্ত জ্ঞানশক্তিতে পরিপুষ্ট হুইব। তুমি । আমাদের অনন্তজীবনের উৎস, আমাদের জীবনের কোন কালে শেষ হইবে না” ইত্যাদি ইত্যাদি।” এইটি অন্বয়পক্ষের আরাধনা। অনন্ত ব্ৰহ্মের অন্তভূর্ণ সমুদায় জগৎ ও জীবের তৎসহ সম্বন্ধবিলম্বনে যে আরাধনা উপস্থিত হয়, তাহা SqgBgBD DD BDBS gD gDB DBDBi SBBDBD DBBDBD DB BDD অমৃত্যু ব্দে নিত্যব্ৰহ্ম গ্ৰহণ করিয়া অঙ্গাবলম্বনে আর স্বতন্ত্র আরাধনা হয় না। - ।