পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । >>6r মৃত্যু কেবল শারীরিক নিয়ম লঙ্ঘনের ফল। যখন দেখি, কোন শষ্যা-গত যুবা ব্যক্তি ছুঃসহ গাত্ৰ-দাহে ও পিপাসাজন্য কণ্ঠ-শোষে অস্থির হইয়া মুহুমুহু: পশ্ব-পরিবর্তন করিতেছে, ও তাহার আত্মীয় স্বজন ইতস্তত: উপবেশন পুরঃসর শঙ্কিত ও উৎকণ্ঠিত মনে চিকিৎসকের প্রত্যাগমন প্রতিক্ষণ প্রত্যাশা করিতেছেন, তখন ইহা পরমেশর-প্রতিষ্ঠিত শারীরিক নিয়ম লঙ্ঘনেরই প্রত্যক্ষ প্রতিফল রূপে প্রতীয়মান হয়। ’ যখন দেখি, যে অভাগিনী জননী অrপনার অশেষগুণালঙ্কৃত তরুণ-বয়স্ক সন্তানকে স্বকীয় জরাবস্থার যষ্টিস্বরূপ জ্ঞান করিয়া আশ ও ভরসায় পূর্ণ ছিলেন, এবং ভাছার বিদ্যা, ধৰ্ম্ম, মুখ, সৌভাগ্য সমুন্নতির বিষয় প্রতিদিন পর্যালোচনা করিয়া পুলকিত হইয়। আসিতেছিলেন, তিনি অকস্মাৎ সেই প্রাণ-সম পুত্রের মৃত্যুiসংবাদ শ্রবণ পূর্বক একেবারে ব জাহত-সদৃশী হইয়া, আলুলায়িত কেশে ব্যাকুলিত হৃদয়ে মুক্তমুক্তঃ হাহাকার করত, উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিতেছেন, ও নিতান্ত নিৰ্দ্দয়ভাবে কায় শিরে ও বক্ষঃস্থলে পুনঃ পুন; করাঘাত করিতেছেন তখন ইহা পরমেশ্বর-প্রতিষ্ঠিত শারীরিক নিয়ম লঙ্ঘনেরই প্রত্যক্ষ প্রতিফল রূপে প্রতীয়মান হয় । যখন দেখি, কোন যৌবনাবস্থ মুমূর্ষ ব্যক্তির পতিপ্রাণ প্রিয়তম ভাৰ্য্যা, নিজ গৃহ হইতে চিকিৎসকদিগকে ক্ষুণ্ণ মনে মান বদনে প্রস্থান করিতে দৃষ্টি করিয়া, সম্ভয় চিত্তে সঙ্গিনীগণকে স্বীয় পতির রোগের, বার্তা জিজ্ঞাসা করিতেছে, এবং পরক্ষণেই তাহাকে মৃত্যু-শয্যায় শয়াল