পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. নবম অধ্যায় । ১৭৯ A নিশ্বরক্ষ রোপণ করিয়া রসপূরিত অমৃত ফল লাভের প্রতাপশ করা আর তিরস্কার ও শান্তি প্রদান দ্বার। বালকগণের শ্রদ্ধাস্পদ ও প্রতিভাজন হইবার আশ। করা উভয়ই তুল্য, উভয়ই নিতান্ত নিষ্ফল হয়। তাহাদের প্রেমাম্পদ ও ভক্তি-ভাজন হইতে হইলে তাহদের নিকট আপনার জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম প্রদর্শন করিতে হয়। যদি কোন ব্যক্তি বালকগণের সমীপে সুবিজ্ঞতা ও সদাচরণ দ্বারা আপনার এরূপ মনোহর স্বভাব প্রকাশ করিতে পারেন, যে তাহা দেখিলে স্বভাবতই ভক্তি ও প্রীতির উদয় হয় । এবং যদি তচ্ছ্বারা তাহাকে জ্ঞানপন্ন ও ধৰ্ম্মপরায়ণ বলিয় তাহাদের হৃৎপ্রত্যয় জন্মে, তাছা হইলে, যদিও নিতান্ত অধম বালকের। তাহার সম্যক্ বশতপন্ন না হয়, কিন্তু উত্তম ও মধ্যম বালকের। তাহার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা প্রকাশ পূৰ্ব্বক তাছার বশবৰ্ত্তী হইলে তাহার সন্দেহ নাই । যেমন সুশীতল চন্দন লেপন করিলে শরীর সুশীতল হয়, সেইরূপ মৃধাময়ী ধৰ্ম্ম-প্ররfত্তর সংস্পর্শে, ধৰ্ম্মপ্ররন্তির সঞ্চার হয় । * কোন কোন বালকের ধৰ্ম্মপ্ররfত্ত এরূপ দুৰ্ব্বল ও fনকটপ্ররত্তি এতাদৃশ প্রবল যে তাহার কোন মতেই বিনীত ও বশবৰ্ত্তী হয় না । কিন্তু তাহার। সঙ্কজে বশীভূত হয় ন বলিয়। তাহাদের চরিত্র সংশোধনের আশা একবারে পরিত্যাগ করা কৰ্ত্তব্য নহে, সৰ্ব্ব প্রযত্বে চেষ্টা করিয়া দেখা উচিত । নিকট-প্ররত্তির এতাদৃশ প্রবলতাকে এক প্রকার রোগ বলিয়া নির্দেশ