পাতা:ধর্ম্মনীতি - প্রথম ভাগ (অক্ষয় কুমার দত্ত).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । > & হওয়া মুকঠিন । শত্র বা মিত্রপক্ষ ঘটিত কোন বিষয় বিচার করিতে হইলে, বিচারকদিগের পক্ষপণতরূপ গুৰুতর দোষে পতিত হইবার বিলক্ষণ সম্ভাবনা । আমাদের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম-জ্ঞান স্বভাব-সিদ্ধ হইলেও, ষে কয়েক কারণে ৫হ্মান কোন দুষ্কৰ্ম্মকে সংকৰ্ম্ম ও কোন কোন সৎকৰ্ম্মকে দুষ্কৰ্ম্ম জ্ঞান হয়, তাহার বিবরণ করা গেল । তৎসমুদায় পর্যালোচনা করিয়া দেখিলে স্পষ্ট বোধ হয়, আমাদের ধৰ্ম্মপ্ররত্তির স্বভাবের কদাপি ব্যতিক্রম হয় ন । পরের হিতাভিলাষ করা উপচিকীর্ষণর স্বভাব, নাযান্যায্য প্রতীতি করা ন্যায়পরতার স্বভাব, ভক্তিভাজনকে ভক্তি করা ভক্তিবৃত্তির স্বভাব, ইত্যাদি যে ল্পত্তির মেরূপ স্বভাব নির্দিষ্ট আছে, কোন ক্রমেই তাহার অনাথ হয় না । হয়, আমাদের বুদ্ধিরত্তি যথোচিত মার্জিত না হওয়াতে সকল কৰ্ম্মের যথার্থ গুণগুণ নিরূপণ করিতে সমর্থ হয় না, নয়, কোন মনেণরত্তি অত্যন্ত প্রবল{ হইয়া ধৰ্ম্মপ্ররত্তি সমুদায়ের উপদেশ বলবৎ হইতে দেয় না । ইহাতেই স্থল-বিশেষে ধৰ্ম্মকে অধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্মকে ধৰ্ম্ম বলিয়া বিশ্বাস জন্মে। অম, মধুর, কটু, তিক্তাদি অনুভব কর! আমাদের যেরূপ স্বভাব-সিদ্ধ, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম প্রতীতি করা ও সেইরূপ স্বভাবসিদ্ধ তাহার সন্দেহ নাই । ধৰ্ম্মপ্রৱত্তি সমুদায় স্ব স্ব স্বভাবানুসারে"ধৰ্ম্মানুঠান বিষয়ে প্রৱত্তি প্রদান পূর্বক আপনাদের সর্বপ্রাধান্য জ্ঞাপন করিতেছে, এবং মার্জিত বুদ্ধির সছকত হইয়া সৰ্ব্ব-ধৰ্ম্ম-প্রয়োজক পরমেশ্বরের প্ররত অনুমতি প্রচার করিতেছে। তাহাদিগকে র্তাহার প্রতিনিধি জাদ