পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉》ぐり পরিব্রাজকের বক্তৃত। নিস্তেজ হইয়া এখনও যে জীবিত রহিয়াছে, ইহার কারণ কি ? ভারত দুৰ্ব্বল ও অচেতন হইয়াছে বটে, কিন্তু এখনও ইহার প্রাণ মজ্জাভেদ করিয়া বহির্গত হয় নাই। ভারত অমৃতপানে অমর হইয়া রহিয়াছে। ধৰ্ম্মই ভারতের প্রাণ, ধৰ্ম্মই ভারতের জীবন, ধৰ্ম্মই ভারতের বলবীৰ্য্য, ধৰ্ম্মই ভারতের সৌন্দর্য্য, ধৰ্ম্মই ভারতের সম্পত্তি, ধৰ্ম্মই ভারতের সর্বস্ব । ধৰ্ম্মকে অবলম্বন করিয়া ভারত জীবনধারণ করিয়া থাকে। এত দুর্দশায় পড়িয়াও, এত দুৰ্ব্বিপাকে নিপীড়িত হইয়াও, অকাতরে বিস্তু-বজ্ৰাঘাত মস্তকে সহ্য করিয়াও ভারত যে এখনও জীবিত আছে, ভারতের ধৰ্ম্মপরায়ণতাই তাহার কারণ। ধৰ্ম্মশূন্য হইয়। ভারত মুহূৰ্ত্তমাত্র ও জীবিত থাকিতে পারে না, কেননা ধৰ্ম্মশূন্য হইলেই ভারত প্রাণশূন্য হইবে। ধৰ্ম্ম ছাড়িয়া ভারত কোন কৰ্ম্মই করিতে পারে না । ভারতের প্রত্যেক কার্য্যই ধৰ্ম্মমূলক। ভারত ভোজনে, শয়নে, স্বপ্নদর্শনে, জাগরণে, গমনে, ও আগমনে ভগবানের নাম স্মরণ করে। ভারত বিবাহে ও উৎসবে, সম্পদে ও বিপদে, সমরে ও প্রিয়সঙ্গমে ভগবানের নাম করিয়া থাকে। ভারত বিদ্যাশিক্ষাকালে, এমন কি, একখানি ক্ষুদ্র লিপি লিখিতে হইলেও, বলিতে কি, ভারত যে কোন কার্য্যেই প্রবৃত্ত হউক না কেন, ভগবানকে স্মরণ না করিয়া, ধৰ্ম্মভাবে নিমগ্ন না হইয়া, ভারত কখনই থাকিতে পারে না। ভারতই আপনার জীবনকে সার্থক করিয়া প্রেমাবেশে বিভোর হইয়া জগজ্জননীর নিকট কৃতাজলিপুটে বলিয়াছিল—