পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ পরিত্রাজকের বক্তৃত। তৃণরাশি-বিনিৰ্ম্মিত রজ্জ্বতে মত্তমাতঙ্গকেও বদ্ধ করা যায় ; একতার এই মহাবীজমস্ত্রে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা দীক্ষিত হইয়া ভারতের প্রত্যেক শুভানুষ্ঠানে অনুরাগের সহিত যোগদান করিব, যে দিন আমরা “ন বিভেতি রণাৎ যে বৈ সংগ্রামেইপ্য পরাঃ মুখঃ। ধৰ্ম্মযুদ্ধে মৃতোবাপি তেন লোকত্ৰয়ং জিতং ।” যিনি শক্ৰকর্তৃক প্রপীড়িত হইয়া সম্মুখ সংগ্রামে কখনই ভীত বা পরাঙ মুখ হয়েন না, ধৰ্ম্মযুদ্ধে দেহ বিনষ্ট হইলে ও তিনি ত্রিলোক-বিজয়ী বীর বলিয়া প্রসিদ্ধ হয়েন ; এই বীর হৃদয়ের স্থগভীর কথাকী যখন আগ্রহপূর্ণ হৃদয়ে ধারণ। করিতে শিখিব, যে দিন আমরা d “সৰ্ব্বং পরবশং দুখং সৰ্ব্বমাত্মবশং সুখম” পরবশ হইয়া যাহা কিছু করিতে হয়, সে সমস্তই দুঃখের কারণ, এবং আত্মবশ বা স্বাধীন চিত্ততার সহিত যাহা কিছু অনুষ্ঠিত হয়, সমস্তই মুখের কারণ ; এই নীতি-উপদেশানুসারে কার্য্য করিতে শিখিব, তখনই আর্য্যসন্তান বলিয়। পরিচয় দিবার সুযোগ্য অধিকারী হইব। “দৃষ্টিপু নামেং পাদং বস্ত্ৰপুতং জলং পিবেং। সত্যপুস্তং বদেৎ বাচং মনঃপূত্ৰং সমাচরেং ।” পথে কোন সুৰ্ব্বল পতিত জীব পদ-বিমৰ্দ্দিত হইয়। না যায়, অথবা কোন বিষদংষ্ট্রীযুক্ত জীব পথচারীর পদে দংশন না করে, এরূপ দেখিয়া, এবং কোন অশুচি বস্তু পথে পড়িয়া আছে কিনা, তাহ বিচারপূর্বক সাবধানে পদনিক্ষেপ করিবে, বস্ত্রদ্ধার জল ছাকিয়৷ পান করিবে: