পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । • SS ধনসম্পত্তি ব্যতীত সমাজের বল-বৃদ্ধি হয় না। পৃথিবী শস্যশালিনী না হইলে এই ধনসম্পত্তিও গম ও স্থলভ হয় না । জগৎ-প্রস্থতি প্রকৃতির কৃপায় ভারতের অধিকাংশ স্থলই স্বভাবতঃ উৰ্ব্বর। । অন্য দেশে বহু পরিশ্রম করিয়া, বিশেষরূপ যত্ব করিয়া, যে ফললাভ হইয়া থাকে, সামান্য যত্ব করিলেই, ভূমির প্রকৃতি-গুণে ভারতবাসীগণ সেই ফললাভ করিয়া থাকেন। ভারতের প্রচুর শস্য-উৎপাদন জন্যই ভারতবর্ষবাসী নিশ্চিন্ত চিত্তে নিজ নিকেতনে বসিয়| সমস্ত প্রকার উন্নতির পথ পরিষ্কার করিতে পরিয়াছিলেন । সাগর, উপসাগর, মহাসাগর পার হইয়। দূরদেশবর্তী বণিকগণ তত্তদেশজাত সামগ্ৰী লইয়। ভারতজাত শস্যাদির বিনিময়ে বাণিজ্য করিতে আসিতেন। ভারতবাসীগণ ঘরে বসিয়া সকল দেশের সকল সামগ্রীই পাইতেন। প্রকৃতিগত বুদ্ধির বিচক্ষণতার জন্য ভারতবাসীর চিন্তাশীল মস্তিষ্ক হইতে নানাবিধ শিল্প-নৈপুণ্যও প্রকাশূিত হইয়াছিল ; ইহা ও বিপুল ধনাগমের উৎকৃষ্ট উপায়। তাহ ছাড়া ভারতভুমির অভ্যস্তরবর্তী খনিরাশি হইতে লৌহ, স্বর্ণ, মণি, মাণিক্য প্রভূতি, এবং ভারতের নিকটবর্তী সমুদ্রগর্ভে বহুমূল্য মতি মুক্ত উৎপন্ন হওয়ায়, ভারতবর্ষ অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অদ্বিতীয় ভাওরে হইয়াছিল। ভারতের ঐশ্বৰ্য্য-গৌরবের সৌরভ পাইয়াই দিগেদশের ধন-লোলুপ বীরাঙ্গন ও বীরবর্গের চিত্ত অনেক সময়েই ভারতের দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিল। মহারাষ্ট্ৰী সেমিরামিস ভারতের ঐশ্বৰ্য্যন্তপ স্পর্শ না করিয়া থাকিতে পারেন নাই।