পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 " পরিব্রাজকের বস্তৃত। বর্ণনা দেখিতে পাওয়া যায়। তখন তোপের নাম ছিল শতঘ্নী, অর্থাৎ যাহা দ্বারা বছলোক একবারে নিহত হয়, এবং গোলার নাম ছিল গুড়ক ; যথা ঃ– “পরিগৃহ্য শতীশ্চ সচক্রাঃ সগুড়োপলা । চিক্ষিপুভুজবেগেন লঙ্কামধ্যে মহাস্বনা ৷” চক্ৰযুক্ত গোলাপূরিত শত গ্রহণ করিয় ভুজবেগে নিক্ষেপ করিলেন, উহা বিষম নিনাদে লঙ্কামধ্যে চলিয়া গেল। যখন ইঞ্জিনিয়ার সার আর্থার কটলি সাহেবের তত্ত্বাবধানে পশ্চিমোত্তর প্রদেশে গঙ্গা-খাত (Ganges-canal) খনন করা হইতেছিল, তখন একটী প্রাচীন ভগ্নাবশেষ নগরের (কটালি সাহেব অনুমান করিয়াছিলেন প্রাচীন হস্তানাপুর) ১৭ ফিট ভূমির নিক্ষে অনেক গুলি ধাতু-নিৰ্ম্মিত ও প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত সামগ্রী পাওয়া গিয়াছিল, তন্মধ্যে একটী সামগ্ৰী ঠিক একটী ছোট কামানের ন্যায় ছিল। বারুদের নাম ছিল উৰ্ব্বাগ্নি, ইহা উৰ্ব্বনাম ঋষিকর্তৃক আবিষ্কৃত। কৃষ্ণ ও শল্যের যুদ্ধ-বৰ্ণন কালে নীতিচিন্তামণিতে লিখিত আছে – “উৰ্ব্বারিং প্রোথিতং কৰা শতঘ্নীগুড়কৈধুতং।” অর্থাৎ এই যুদ্ধে উৰ্ব্বাগ্নি (বারুদ), গুড়ক (গোল) প্রোথিত ও পুর্ণ করিয়া শতন্ত্রী ব্যবহার করা হইয়াছিল । এই সকল নিদর্শন দেখিয়া, সভ্য মহোদয়গণ । কেমন করিয়া বলিব, প্রাচীন ভারতে বর্তমান যুদ্ধ-বিদ্যার পূর্ব বিকাশ হয় নাই ? তাহাদিগের বিমানারোহণে গতি, রৌদ্রবান, অগ্নিবাণ, বরুণবান, শক্তিশেল প্রভূতির কথা স্মরণ করিয়া যদি প্তাহাদিগকে বর্তমান যুদ্ধার্থিবর্গের নিম্ন শ্রেণী-ভুক্ত করা হয়,