ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । ૨? শত নিগুঢ় তত্ত্ব, আকাশের শব্দ আকাশে লয় হওয়ার ন্যায়, বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে, তাহার সীমা করা যায় না। লোক সকলের স্মরণশক্তি অতি তীব্র থাকায়, অনেক কথাই লিপিবদ্ধ করিবার আবশ্যক হইত না । শ্রুতি, পুরাণ প্রভৃতি সকলই বহুকাল মুখে মুখে প্রবাহিত হইয়া আসিয়াছিল, লোকের মেধাশক্তির খৰ্ব্বত হইতে দেখিয়া আচার্য্যগণ ক্রমে সে সকল শ্ব লাপুৰ্ব্বক লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। ভারতীয় মস্তিষ্কের নিভূত-চিন্তা-প্রস্থত কত প্রয়োজনীয় বিষয়েই যে আমরা বঞ্চিত হইয়াছি, তাহ বলিতে পারা যায় না । তাহাদের মুখের কথা মুখেই রহিয়া গিয়াছে, আমাদের ন্যায় দুর্ভাগ্যগণের কর্দুে প্রবেশ করিল না । সে কালের ধরণের একটী পণ্ডিতের কথা এখন মনে পড়িতেছে। তিনি শাস্ত্রের নানা শাখায় স্থপণ্ডিত ছিলেন, কিন্তু নিঃস্বত প্রযুক্ত সৰ্ব্বদা কুেশ ভোগ করায়, তাহাকে একজন স্থল-সমুহের তত্ত্বাবধায়ক বল্লিলেন যে, আপনি নৰ্ম্মাল স্কুলের নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারিলে, আমি আপনাকে কোন একটা স্বলের প্রধান পণ্ডিত করিয়া দিতে পারি। তাহাতে আপনি যে মাসিক বেতন পাইবেন, তাহাতে আপনার সংসার চলিতে পরিবে । বৃদিমান মেধাবী পণ্ডিত পরীক্ষার পুস্তক গুলি জানিয়া লইলেন, ও স্বল্পকাল মধ্যে সমস্ত অভ্যাস করিয়া পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হইলেন, এবং তাহার সার্টিফিকেট ও পাইলেন। পণ্ডিত মহাশয় সার্টিফিকেট লিখিত কুয়েক পঙক্তি মুখস্থ করিয়া লইলেন এবং কাগজ খানি কোথায় রাখিবেন ভাবিয়া ফেলিয়া দিলেন। কিছু দিন পরে