পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪ পরিত্রাজকের বস্তৃতা। পদ্ধতি বা বর্ণাধিকার-বন্ধনকে বিমোচন করিতে চাহেন। আমি বলি, যাহাকে সৰ্পে দংশন করিয়াছে, তাহার দষ্ট স্থানের উপরিভাগে স্থদ্বঢ় বন্ধন করাই শ্রেয় ; যতক্ষণ বিষ বিনির্গত না হইয়া যায়, ততক্ষণ বন্ধন মোচন করা ভাল নহে। গোয়ার চিকিৎসক বন্ধন খুলিতে বলিলেও রোগীর আত্মীয়গণের পক্ষে তাহ খুলিতে না দেওয়াই উচিত। অসময়ে খুলিলে, বিষ থাকিতে খুলিলে, সেই বিষ সৰ্ব্ব শরীরে সঞ্চারিত হইয়া যায়, এবং রোগীর প্রাণ-বায়ুকে বাহির করিয়া দেয়। অবিদ্যারূপিণী কালনাগিনী জীব মাত্রকেই দংশন করিয়াছে। যাহারা অবোধ, তাহারা চিকিৎসা করুক বা নাই করুক, স্থবোধ আৰ্য্যজাতি এই কালসাপিনীর বিষবহ্নি-জর্জরিত মানবাত্মাকে আরোগ্য—মায়া-মুক্ত করিবার জন্য এই বন্ধনের ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। বিষ কাটিয়া গেলে, সৰ্ব্বত্রৈকাত্মাকত-বুদ্ধির উদয় হইলে, পারমহংস্য বৃত্তি-প্রবাহ সবেগে ছুটিতে থাকিলে, এই বন্ধন কাহাকেও যত্ব করিয়া খুলিতে হইবে না, উহ। আপনিই খুলিয়া যাইবে। বিষ বাহির হইয়। গেলে, বিষ-পাথর আপনিই খসিয়া পড়িবে। স্বেচ্ছাচার প্রিয় ব্যক্তিগণ এই বর্ণ-বন্ধনকে একটা বিড়ম্বন বলিয়া বোধ করিয়া থাকে। অতি সূক্ষ-দৰ্শন-সন্তত এই বর্ণ-বিচারই আধ্যজাতির প্রধান গৌরব-চিহ্ন। এই বর্ণভেদ-বিচার-বিতাড়িত হইয়াই বৈশ্যগণ ভারতকে ধনধান্য-পরিপূর্ণ কৰিছিলেন, ক্ষত্রিয়গণ সাগরণস্বর বম্বন্ধরায় ঐকাধিপত্য করিয়া নভশ্চ পৃথিবীঞ্চৈব তুমুলোইভ্যমুনাদিত করিয়া তুলিয়াছিলেন। এই বর্ণ-বিচার-বিলাসে বিমোহিত—বিনোদিত হইয়াই ব্রাহ্মণগণ