পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । )هما(


-------

মুসলমান সম্রাট গণ সনাতন-ধৰ্ম্ম-সেবকগণের মস্তক-ছেদনের ভয় দেখাইতেন। বর্তমান ইংরাজ শাসনকর্তৃবর্গ বাহ্যতঃ মস্তক ছেদন করেন না, কিন্তু কৌশল-পূর্ণ শিক্ষণ-প্রণালীর ছুরিকা চালাইয়া মস্তকের ভিতর মস্তিষ্ক বিকৃত করিয়া দেন, বা ভাষা কথায়, মাথা খাইয় দেন। শিক্ষণ-প্রণালীর দোষে সমাজ মলিন হইয়া যাইতেছে । যেমন স্থৰ্য্য নিজ রশ্মিজাল বিস্তার পূর্বক সাগরা, রাশিকে বাস্পাকারে আকর্ষণ করতঃ নিবিড় নীরদ-নিকরনিৰ্ম্মাণ ও তদ্বারা আপনাকে তমসাচ্ছন্ন ও পৃথিবীকে তিমিরবৃত করেন, আবার স্বীয় উষ্ণতা-সহযোগেই বর্ষাবারিপাতে আপনিই নিৰ্ম্ম জ্ঞ হয়েন, তদ্রুপ পরম পরাৎপর ভগবান নিজ মহীয়সী মায়াতেই আপনাকে আপনি আচ্ছন্ন ও জগৎকে অজ্ঞানজালে অন্ধ করেন, আবার আপনিই সাধুহৃদয়কুঞ্জে প্রকাশিত হইয় তাহার পূর্ণ-জ্ঞান-প্রভাবে জগৎকে জ্ঞানশিক্ষা দিয়া আপনার অচিন্তনীয় লীলার পরিচয় দিয়া থাকেন । আজ কাল চারি দিকে ধৰ্ম্ম-বিপ্লব উপস্থিত হওয়ায়, স্থানে স্থানে মহাত্মীগণের যত্বে ধৰ্ম্ম-সভা সংস্থাপিত হইযাছে। পুরাকালে ভারতবর্ষের সর্বত্রই সনাতন-ধর্শ্বের প্রভূত প্রচার ছিল, কিন্তু আপাততঃ সৰ্ব্ব স্থানেই ইহার দুরবস্থা ঘটিযাছে, তাহার পুনরুদ্ধার অর্থাৎ সাময়িক উপদ্রব-রাপি দূরীকরণ জন্য এক একটী প্রধান প্রধান স্থানে এক একটী সভাস্থাপন মাত্র করিয়া নিশ্চিস্ত থাকিলে চলিবে না । বিশেষতঃ তন্মধ্যে কোন কোন ধৰ্ম্ম-সভা পরধৰ্ম্মদ্বেষ ও ঈর্শাভাব-শূন্য