পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার। ‘이 প্রথম শ্রেণীর দ্বারা সমাজ ভৗত ও ক্ষতিগ্রস্ত ; দ্বিতীয় শ্রেণী দ্বারা শতধা-বিভক্ত, কাৰ্য্য বিশেষে উন্নত, ও সময়ে সময়ে বিপ্লবগ্রস্ত হইয়া থাকে ; তৃতীয় শ্রেণী দ্বারা সমাজ স্থির, নিরুপদ্রব, দ্বন্দ্বশুন্য, স্বাধ্যায়তৎপর, আনন্দিত, ও প্রেমিক হইতে পারে। প্রথম শ্রেণীস্থ লোক পরদোষ ক্ষালন করিতে চান ; দ্বিতীয় শ্রেণী অন্যের দোষ দেখাইয়া স্বকীয় মতের গুণগৌরব ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন ; তৃতীয় শ্রেণী কাহারও কোন দোষাদির উল্লেখ না করিয়া শুদ্ধ নিজ ভাবের উৎকর্ষ ঘোষণা করিয়া থাকেন। প্রথম শ্রেণী মলিন বস্ত্র ত্যাগ করাইয়া লোক সকলকে উলঙ্গ করিয়া রাখেন ; দ্বিতীয় শ্রেণী মলিনবাস বর্জনপূর্বক পরিষ্কার বস্ত্ৰ দিয়া তাহ ব্যবহারের শিক্ষা দিয়া থাকেন ; তৃতীয় শ্রেণী কেবল পরিচ্ছন্ন বস্ত্রাদির পারিপাট্য, শোভা, ও গুণ ব্যাখ্যা করিয়া লোক সকলকে সেইরূপ বসন দান করিয়া পরিধানে লোলুপ করেন, এবং পক্ষান্তরে “লোক সকল তাহার শোভা সৌন্দর্ঘ্যে বিমোহিত হইয়া বিনা •প্রেরণায় আপন আপনিই মলিন বসন পরিত্যাগ করিতে থাকে । এক্ষণে কোন প্রণালীতে ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচারিত হইলে আমাদের কল্যাণ সংসাধিত হইতে পারে, তাহ বিচক্ষণ মাত্রেরই বিবেচ্য বিষয় । তবে আমাদের সামান্য বুদ্ধিতে বর্তমান বিপ্লবপুর্ণ ভারত-সমাজে তৃতীয় শ্রেণীর প্রণালীতে কার্য্য হইলে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক উপকার হুইবার আশা আছে, ইহাই বোধ হয় । এবং সময়ে সময়ে কোথাও কোথাও দ্বিতীয় শ্রেণীর ব্যবস্থাও অবলম্বন করা শ্রেয়স্কর।