পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় । )o○ SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSAAAAAA جمعیتهایی عینی تعیین میবা ভাবের মধ্য দিয়া অনুভূত হয়, তখন উহাকেই মন বলে, আর যখন উহা স্বস্বরূপে উপলব্ধ হয়, তখন উহা আত্মারূপে, সেই এক অদ্বিতীয় সত্তারূপে প্রতীত হয়। অতএব ইহা ঠিক নহে যে, এক জায়গায় দেহ, মন ও আত্মা—এই তিনটী জিনিষ রহিয়াছে—যদিও বুঝাইবার সময় ঐরূপে ব্যাখ্যা করাতে বুঝাইবার পক্ষে বেশ সহজ হইয়াছিল—কিন্তু সবই সেই আত্মা আর সেই এক পুরুষই বিভিন্ন দৃষ্টি অনুসারে কখন দেহ কখন মন ও কখন বা আত্মারাপে কথিত হইয়া থাকে । একমাত্র পুরুষই আছেন, অজ্ঞানীরা তাহাকেই জগৎ বলিয়া থাকে। যখন সেই ব্যক্তিই জ্ঞানে অপেক্ষাকৃত উন্নত হয়, তখন সে সেই পুরুষকেই ভাবজগৎ বলিয়া থাকে। আর যখন পূর্ণ জ্ঞানোদয়ে সমুদয় ভ্রম উড়িয়া যায়, তখন মানব দেখিতে পায়, এ সমুদয়ই আত্মা ব্যতীত আর কিছু নহে। চরম সিদ্ধান্ত এই যে, ‘আমিই সেই এক সত্তা’। জগতে দুটা তিনটী সত্তা নাই, সবই এক । সেই এক সত্তাই মায়ার প্রভাবে বহুরূপে দৃষ্ট হইতেছে, যেমন অজ্ঞানবশতঃ রজুতে সপভ্রম হইয়া থাকে। সেই দড়িটাকেই সাপ বলিয়া দেখায় । এখানে একটা দড়ি আলাদা ও সাপ আলাদা—দুটা পৃথক বস্তু নাই। কেহই তথায় ছুটী বস্তু দেখে না। দ্বৈতবাদ ও অদ্বৈতবাদ বেশ স্বনীর দার্শনিক পারিভাষিক শব্দ হইতে পারে, কিন্তু সম্পূর্ণ অনুভূতির সময় আমরা এক সময়েই সত্য ও মিথ্যা কখনই দেখিতে পাই না । আমরা সকলে জন্ম হইতেই