পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Seee eAeAMSAM eAMMAMAeAAA AAAA AAAAS AA SAASAASAASAASAASAASAAAS বৰ্ত্তমানেও তাঁহাই হইব । অন্য কথায় বলিতে গেলে বলিতে হয়, আমরা অতীত কালে যেরূপ ছিলাম, এখানে এখনও ঠিক সেই অবস্থাপন্ন হইয়া থাকি । এক্ষণে আপনারা বুঝিলেন, জ্ঞান বলিতে কি বুঝায়। জ্ঞান আর কিছুই নহে, পুরাতন সংস্কারগুলির সহিত একটী নূতন ংস্কারকে গ্রথিত করা—এক খোপে পোরা—নূতন সংস্কারটকে চিনিয়া লওয়া। চিনিয়া লওয়া বা প্রত্যভিজ্ঞার অর্থ কি ? আমাদের পূর্ব হইতেই যে সদৃশ সংস্কারগুলি আছে, তাহদের সহিত উহার মিলন আবিষ্কার । জ্ঞান বলিতে ইহা ছাড়া আর কিছু "বুঝায় না । তাহাই যদি হইল, তবে অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে, এই জ্ঞানলাভপ্রণালীতে যতগুলি সদৃশ বিষয় আছে, সমুদয়গুলিকে দেখিতে হইবে । তাই নয় কি ? মনে করুন, আপনাকে একটা প্রস্তরখণ্ডকে জানিতে হইবে, তাহা হইলে উহার সহিত মিল খাওয়াইবার জন্য আপনাকে উহার সদৃশ সমুদয় প্রস্তরখণ্ডগুলিকে দেখিতে হইবে । কিন্তু জগৎসম্বন্ধে আমরা তাহা করিতে পারি না, কারণ, আমাদের সাধারণ জ্ঞানের দ্বারা আমরা উহার একপ্রকার অনুভবমাত্র পাইয়া থাকি—উহার এদিক ওদিকে আমরা কিছুই দেখিতে পাই না, যাহাতে উহার সদৃশ বস্তুর সহিত উহাকে মিলাইতে পারি। সেই জন্য জগৎ আমাদের নিকট অবোধ্য বোধ হয়, কারণ, জ্ঞান ও বিচার সর্বদাই সদৃশ বস্তুর সহিত মিলনসাধনেই নিযুক্ত। ব্ৰহ্মাণ্ডের এই অংশট —যাহা অামাদের জ্ঞানাবচ্ছিন্ন, তাহা আমাদের নিকট একটা