বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। bكاس( আমার মস্তিষ্কে যেন প্রবল আঘাতের সহিত এই জ্ঞান আসিল যে, সারা জীবন ধরিয়া আমি যে মরীচিকার কথা পড়িয়া আসিয়াছি, এই সেই মরীচিকা। তখন আমি আমার নিজের এই নিৰ্বদ্ধিতা স্মরণ করিয়া হাসিতে লাগিলাম যে, গত এক মাস ধরিয়া এই যে সব স্বন্দর দৃশ্য ও হ্রদাদি দেখিতে পাইতেছিলাম, তাহার মরীচিকা ব্যতীত আর কিছুই নহে, অথচ আমি তখন উহা বুঝিতে পারি নাই। পরদিন প্রভাতে আমি আবার চলিতে লাগিলাম— সেই হ্রদ ও সেই সব দৃশ্য আবার দেখা যাইতে লাগিল, কিন্তু ঐ সঙ্গে সঙ্গে তৎক্ষণাৎ আমার এ জ্ঞানও আসিল যে, উহা মরীচিকা মাত্র । একবার জানিতে পারাতে উহার ভ্রমোৎপাদিকা শক্তি নষ্ট হইয়াছিল। এইরূপই এই জগন্তু,ান্তি একদিন ঘুচিবে। এই সমুদয় ব্রহ্মাণ্ড একদিন আমাদের সম্মুখ হইতে অন্তহিত হইবে। ইহার নামই প্রত্যক্ষানুভূতি। দর্শণ, কেবল কথার কথা বা তামাসা নহে। ইহা প্রত্যক্ষ অনুভূত হইবে। এই শরীর উড়িয়া বাইবে, এই পৃথিবী এবং আর যাহা কিছু সবই উড়িয়া যাইবে— আমি মেহ বা আমি মন, এই যে আমাদের জ্ঞান, ইহ কিছুক্ষণের জগু চলিয়া যাইবে--অথবা যদি কৰ্ম্ম সম্পূর্ণ ক্ষয় হইয়া থাকে, তবে একেবারে চলিয়া যাইবে, আর ফিরিয়া আসিবে না ; আর যদি কৰ্ম্মের কিয়দংশ অবশিষ্ট থাকে, তবে যেমন কুস্তকারের চক্ৰ—ইড়ি প্রস্তুত হইয়া গেলেও পূর্ব বেগে কিয়ৎক্ষণ ধুরিতে থাকে, অঙ্কপ মায়ামোহ সম্পূর্ণরূপে দূর হইয়া গেলেও এই মেৰু | কিছুদিন থাকিরা যাইবে। এই জগৎ—নরনারী প্রাণী-গষ্ট