পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શજી ] ধৰ্ম্মৰ্যাখ্যা । > e@* অধিক সংয চ করিলে “মধ্যম ইন্দ্রিয় প্রাণ নিরোধ” ( ৮১ পৃ ) হইল। তখন ইন্দ্রিয়াদি শক্তিগুলি আরও হালকা হইয়া গেল, সুতরাং ইক্রিয়া জ্ঞান আরও অক্ষুট বা শিথিল হইয়া পড়িল, অর্থাৎ "স্বল্প ইন্দ্রিয়াত্মজ্ঞান” । ৯৩ পৃ ) হইল। পরে ইন্দ্রিয়শক্তি গুলিকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করিয়া স্নায়ুর মূলপ্রদেশে মনের স্থানেই রাখিতে পারিলে, যখন শক্তি গুলি স্নায়ুর মধ্যে কিছুই আসিতে পারিল না, তখন “অতিমাত্র ইন্দ্রিয়-প্রাণ নিরোধ" হইল, ৮১ পু ) তখন ইন্ধিয়াবস্থাই থাকিল না , এবং যখন ইলিয়াদির স্বরূপই বিদ্যমান থাকুিল না, তখন অগত্যাই “ইন্দ্রিয়াত্মজ্ঞান"ও একবারে বিনষ্ট হইল ; আধার বিনষ্ট হইলে, আধেয় অগত্যা বিনষ্ট হয়; বস্ত্র দগ্ধ হইলে তাহার শুভ্র বর্ণটিমাত্র থাকিতে পায় না। উক্তাবস্থায় কোন প্রকার স্নায়ুর মধ্যেই কোন প্রকার শক্তি থাকিল না; স্বল্পাবস্থায় যেমন অনেকগুলি শক্তি স্নায়ুমণ্ডল পরিত্যাগ করিয়া, মস্তিষ্কের মধ্যেই বিজস্তিত হয়, তখনও সেইরূপ জীবের সমস্ত শক্তিগুলি, সমস্ত স্নায়ুমণ্ডল পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক মস্তিষ্কের মধ্যেই মনের স্থান পৰ্য্যস্ত বিজস্তিত হইতে লাগিল। তখন মনের মধ্যে নানা প্রকার চিস্তাদি বৃষ্ট্রি হইতে লাগিল। এবং মনের বৃত্ত্বি, ( ৬৭ ) মন আর আত্মা এই তিনের একত্রে অনুভব অর্থাৎ সবৃত্তিক মানসাত্মজ্ঞান (১২ পৃ) হইবে। এখন মানস বৃত্তি নিরোধের দ্বারা মনের* বৃত্তিগুলি বিনষ্ট হইলে, কেবল মনের সহিত বিমিশ্রণেই আত্মার অনুভব হইবে, অর্থাৎ নিবৃত্তিক মানসাত্মজ্ঞান হইবে ( ১২ পৃ) এবং যে বৃত্তিস্বরূপ আবরণের আচ্ছাদন থাকাতে এপর্য্যন্ত মন কি পদার্থ তাহা বুঝিতেছিলে না, মনের নিজ মূৰ্ত্তি অনুভব হইতেছিল না, সেই আবরণ—সেই সমস্ত বৃত্তি গুলি মন হইতে বিদূরিত হইল, সুতরাং মনের প্রকৃত স্বরূপ কি তাহাও বুঝিতে পারিলে। গৃহাভ্যস্তরবর্তী দর্পণে সৰ্ব্বদা চারি দিকৃ হইতে প্রতিচ্ছবি নিপতিত হয় বলিয়াই, ষেরূপ তাহার নিজমূৰ্ত্তি পরিদৃষ্ট হয় না, সেই প্রকার মনও সৰ্ব্বদা একএকটা বৃত্তি যুক্ত থাকে বলিয়াই, তাহার নিজমূৰ্ত্তি অনুভব করা যায় না, মনটি কি পদার্থ, তাহার প্রকৃত স্বরূপটি কি, তাহা বুঝাষায় না। এই সময়ে তুমি স্থূলদেহ ও ইস্ক্রিয়প্রাণাদির অবস্থা পরিত্যাগ করিয়া, মনকেই ‘জামি'