পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*oĵ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । »ጳ� হইয় উঠে—সেইরূপ এই ত্রিশক্তির মধ্যেও পরম্পরের সঙ্ঘর্ষণ দ্বারাই পর ম্পরের বলবৃদ্ধি বা প্রাঙ্কুর্তাব হয়। অর্থাৎ রজঃশক্তি আর তমঃশক্তির সহিত সংঘর্ষণ করিতে করিতে সত্ত্বশক্তি বিস্তৃম্ভিত হইয় উঠে, আবার সত্ত্বশক্তি আর তষঃশক্তির সহিত সংতম্বৰ্ষণ করিতে করিতে রজঃশক্তির প্রাচুর্তাৰ হইয়া পড়ে এবং রজঃশক্তি আরসৰশক্তির সঠিত সংঘর্ষণ করিতেং তম:শক্তির পরিস্করণ হইয় উঠে। শক্তিত্রয়ের এইরূপ পুরস্পর প্রতিদ্বস্থিত না থাকিলে কখনই কোনটিরও পরিস্করণ বা হ্রাসবৃদ্ধি কিছুই হইতে পারিত না। প্রতিদ্বন্ধিশক্তি দ্বারাই প্রতিদ্বন্দ্বি-শক্তির প্রভাব ও বলবৃদ্ধি হয়, ইহা শক্তি-জগতের সাধারণ ও সাৰ্ব্বভৌম নিয়ম। সুতরাং ੇ স্থলে, দ্রষ্টব্যে এক শক্তি অপর শক্তির বিরোধিনী, হ্রাসকারিণী, বিনাশকারিণী বা প্রবল-শত্ৰু হইলেও অন্ত দৃষ্টিতে এক শক্তি অপর শক্তির নিতান্ত আত্মীয় বন্ধুই ৰলিতে পায় স্বায়,—যেহেতু একটি বিরুদ্ধ-শক্তির ধর্ষণ ক্রিয় না করিয়া কোন শক্তিরই প্রকাশ বা প্রাদুর্ভাব হওয়া সম্ভবে না । সত্ব, রজঃ এবং তমঃ এই শক্তিত্রয় এইরূপে পরস্পরের সহিত একত্রিতভাবে থাকিলেও ইহাদের সান্ধৰ্য্য উৎপন্ন চর ম, অর্থাৎ ইহাদের একতা হইয়া যায় না, লক্ষণ দ্বারা ইহাদের স্থম্পষ্ট পার্থক্য বিবেচনা ও অস্তুভব করা যায়। শক্তিত্রয় পরস্পর সঙঘর্ষণের দ্বারা যখন একটি বিস্কৃম্ভিত হয় আর অপর দুটি বিনষ্টপ্রায়-ক্ষীণদশ প্রাপ্ত হয়, তখনও তাহাদের সেই অতি স্বক্ষাবস্থার অনুভব না করা যায় তাহা মহে, যদিষ্ট তখন তাহারা নিতান্ত ক্ষীণ তথাপি “বিরুদ্ধ শক্তির অস্তিত্ব ব্যতীত কোন শক্তিরই প্রভাব প্রকাশ পায় না” এই নিয়মানুসারে একটি বিরুদ্ধ শক্তির প্রবলতা দেখিলেই অপর দুটির অস্তিত্বও অনুমিত হয়। অর্থাৎ কাৰ্য্যকালে প্রবল সত্ত্বশক্তি দেখিলেই তাছার বিরোধিনী রজঃ আর তমঃশক্তি অতি কীণভাবে সঙ্গে সঙ্গে আছে, ইহা অকুমান করা যায়, এবং প্রবল রজঃশক্তি দেখিলেই তাছার বিরোধিনী সত্ত্ব আর তমঃশক্তি সঙ্গে সঙ্গে অতি ক্ষীণভাৰে আছে ইহা অঙ্কুমিত হয়। আর প্রবল তমঃশক্তি দৈখিলেও তাছার বিরোধিনী সৰ অার রজঃশক্তি অতি ক্ষীণভাবে লঙ্গিনী হইয়া জাছে ইহা মনে করিতে হইবে। কাল্পৰ বিরুদ্ধ শক্তি সঙ্গে সঙ্গে ক্ষীণভাবে না থাকিলে এই গৰখ শক্তির স্বল প্রকাশ হইতে পাখে না।”