পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थं७] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ২৭৩ এই জ্ঞানও তোমার সেই পূৰ্ব্ব করে “ অমির ” জ্ঞানের মধ্যেই পড়িল ; কারণ বুদ্ধি, মন, ও ইন্দ্রিয় প্রভৃতি কিছুই তোমার “আমি” হইতে বিভিন্ন বা পৃথকু কোন পদার্থ নহে। তোমার "আমিই” ঐ ঘটদর্শনের বুদ্ধিরূপে পরিণত হইয়া তৎপর অভিমান, তৎপর মন, অবশেষে চক্ষুব্লিদিয়ৰূপে পৰিণত হইয়াছে, ইহা অতি বিস্তারক্রমে পূৰ্ব্বেই বুৰাইয়াছি ( ১৫৮ পূঃ হইতে ৩ম খণ্ডশেয পর্য্যন্ত )। তবেই বুঝিতে হইবে যে, বুদ্ধির একটু পরিবর্তনাবস্থ হইলেই তোমার “আমির” (জারাত্মার ) পরিবর্তনাবস্থা হইল। এবং অভিমানের, মনের বা ইন্দ্রিয়ের পরিবর্তন হইলেও তোমার “আমিরই * অবস্থান্তর হইল। এ কথা কোন মতেও অস্বীকারের উপায় নাই। অতএব ঘটপটাদি দর্শন বা স্পর্শনাদি কালে প্রথমে যখন পূৰ্ব্বোক্ত (২৬৮ পৃ ১৫ প) নিয়মানুসারে তোমার চক্ষুরিত্রিয় বা স্পর্শেন্দ্রিয় আপন অবস্থায় অপ্রকাশিত হইয়। ঐ ঘটপটাদির আকারে পরিণত হইল, তখন তোমার আত্মারই অবস্থান্তর হইল। তংপর মনের ও বুদ্ধির নিজাবস্থা অপ্রকাশিত হইয়া ঘপপটাদি আকার হওয়াও তোমার “আমিরই’ অবস্থান্তর হওয়া। সুতরাং তোমার অভ্যন্তরে মুখ দুঃখ ও ভক্তি প্রভৃতি অবস্থা হইলে উহা যেমন তোমার "আমির” একটা পরিবর্তন অবস্থামাত্র, ইহাও ঠিক সেইরূপ একটা পরিবর্তন অবস্থা। অতএব তোমার আভ্যন্তরিক সুখ ছুঃখ বু ভক্তি প্রভৃতির জ্ঞান যেমন নুতন করিয়া জন্মিতেছে না, কিন্তু লোমীর জীবাত্মার উৎপত্তি হওয়া অবধি, যে সেই পুৰ্ব্বোক্ত (১৮১ণু ৪) একট। “ আমির” অনুভব ছিল, যাহা চিরদিন পর্য্যন্ত আছে বলিয়া তোমার গ্রাহে আসিতেছিল না, তাহাই তখন তোমার অবস্থার পরিবর্তন হওয়া নিবন্ধন, গ্রাহ হইল ; ঘটপটাদির দর্শন কালেও তাহাই হইল। তখন তোমার ‘'আমির” পরিবর্তন অবস্থা হওয়ায় সেই চিরন্তন “আমির” অনুভবটাই ওiাহু হুইল । তাই “ঘটজ্ঞান জন্মিল” “পট জ্ঞান জন্সিল” এইরূপ বলা হইয়া থাকে। ঘট দর্শনের পূৰ্ব্বে তুমি তোমার নিজের অস্তিত্বমাত্র অনুভব করিতে ছিলে ; কিন্তু ঐ अशङ्कड़ि আজন্ম আছে বলিয়। তোমার গ্রাহে আসিতেছিলনা। এখনু প্রত্যক্ষজ্ঞানের প্রণালী অনুসারে ঘটের রূপটি গিয়া চক্ষু-প্রসারিত-ইন্দ্রিয়শক্তির শহিত মিশাইয়া গেলে, ইন্দ্রিয় শক্তিটি ©ፃ