পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* શહ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ՀԳՏ পুৰ্ব্বে বুদ্ধি, মন, অভিমান ও ইন্দ্রিয়কে একই পদার্থ বলিয়া উপদেশ দিয়াছেন (৩য়, খণ্ডে )। তখন বলিয়াছেন, "ঘটদর্শন করার শক্তি যখন আত্মাতে পরিস্ফুরিত হইয়া মস্তিষ্কের অভ্যন্তর প্রদেশে ক্রিয়া করে, তখন তাহাকে ঘটদর্শনের বুদ্ধি বলে। আর যখন ঐ শক্তির্টিই আর একটু বাহিরের দিকে মস্তিষ্কের মধ্যেই ক্রিয়া করে, তখন ঘটদর্শনের অভিমান হইলে ; পর যখন মস্তিষ্কের শেষ সীমা আর চাক্ষুষস্নায়ুর মূল প্রদেশে আইসে তখন ঘটদর্শনের মন, এবং যখন চক্ষুষমায়ুর মধ্যে আসিয়া ক্রিয়া করে তখন চক্ষুরিত্রিয় বলিয়া ব্যবহৃত হয়। এইরূপ অবস্থা ও ক্রিয়াভেদে একই শক্তি নানা - মামে অভিহিত হয়”। কিন্তু এইক্ষণে আবার বলিলেন “ইন্দ্রিয়ের দ্বারা আলোনজ্ঞান, মনের দ্বারা সঙ্কল্পজ্ঞান এবং বুদ্ধি দ্বারা অধ্যবসায় জ্ঞান হইয়া থাকে, এবং ঘটাকারে আকারিত হওয়া ঘটনও প্রথম ইন্দ্রিয়ের, তৎপর মনের, তৎপর বুদ্ধির হইয়া থাকে ”। সুতরাং এই কথাদ্বারা যেন ইন্দ্রিয় এবং মন প্রভৃতির পার্থক্য অঙ্গীকার করা হইল। অতএব ইহার তাৎপৰ্য্য কি তাহ বলুন। আচার্য্য। এখানেও উহাদের বিভিন্নতা, অঙ্গীকার হয় নাই ; একই শক্তি বুদ্ধ্যাদি পৃথক্ পৃথক্ নামে অভিহিত হয় তাহাই সত্য। তবে কি না, আধার এবং যন্ত্রের পার্থক্য খাঁকাতে একই শক্তি স্থল, বৃক্ষ, এবং •নিৰ্ম্মল ও মলিনাদি বিভিন্নরূপে পরিণত হইয়া বিভিন্নরূপ ক্রিয়া করিয়া থাকে ; সেই ক্রিয়াই এখানে প্রদর্শিত হইল। এজন্য এই সকল ক্রিয়া দ্বারাই শাস্ত্রে উহাদের পৃথক পৃথক লক্ষণ করিয়াছেন। শাস্ত্রের কোন কোন স্থানে বলিয়াছেন যে, যাহা দ্বারা আলোচন জ্ঞান হয় তাহার নাম জ্ঞানেন্দ্রিয়, যাহার দ্বারা সঙ্কল্প জ্ঞান হয় তাহার নাম মন, যাহার স্বারা অধ্যবসার জ্ঞান হয় তাহার নাম বুদ্ধি * । আবার পুৰ্ব্বে যে লক্ষণের কথা বলিয়াছি তাহাও কোন কোনু স্থানে লিখিত আছে। অতএব কোনই বিরোধ নাই। এখন ইহার আর অধিক বিহারের প্রয়োজন নাই, এখন তার একটা কথা শুন ।