পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rసిఫి ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ চতুর্থ এজন্যই এই প্রকাশ ভাবটিকে, অন্তঃকরণের কোন গুণ, বা শক্তি, বা ক্রিয় বিশেষ বলিতে পারা যায় না। কারণ, উছা অন্তঃকরণের কোন গুণ বা শক্তি, বা ক্রিয় লিশেয হইলে, শীতলতাগুণের, অাধার জলের ন্যায়; অস্তঃকরণকেও উচ্চার সমবায়ী অধির বলিতে হইবে ; কিন্তু সমবায়ী অাধারের অন্যথা হইলে সমবেত আধেয় কখনই অক্ষ ত থাকিতে পারে না, ইহ। স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম। ধর, যেমন জল শৈত্যের সমবায়ী আধার, এবং শৈত্যগুপ বা শক্তি, তাহার সমবেত আঞ্চেয়। এই জলকে ষণি ‘ জলজান ? ও 'অম্লজনে 'পরিণত করিয়া অন্যথা করিয়া দেওয়া যায়,--তলে কি শৈ *্যগুণ বা শৈত্য শক্তি অক্ষত থাকিতে পারে ? কিম্বা উহার কোন চিত্বও পাওয়া যায় ? কখনই না, শৈত্যগুণও উহারই সঙ্গে সঙ্গে বিনষ্ট হইয়া যায় । সেইরূপ আমাদের এই আভ্যন্তরিক প্রকাশ ভাব, বা উপলব্ধি ব। চৈতন্যও, যদি অন্তঃকরণের কোন প্রকার গুণ বা শক্তি বিশেষ হইত, তবে ভিন্ন ভিন্ন এক একটি বৃত্তির উত্তেজনা হইয়া, যখন আ কর’ের মধ্যে এক একটা বিপ্লব অবস্থা হইয়া যাইতেছে, তখন এই প্রকাশেরও অন্তথা ইত ; কিন্তু তাঙ্গ কখনই হয় না। মনের ক্রিয়ীকেই র্যহীরা এই প্রকাশ বা চৈতন্য বলিতে চাহেন, প্তাহীদের অনুভব শক্তি আরও ধন্ত- তাহারা মনের একটু বিকম্পন বা নড়াচড়াকেই এই ੀਆਂ বা অনুভূতি বলিয়া বিশ্বাস করিয়া নিশ্চিন্ত থাকেন। । ফলতঃ ক্রিয়া হইলেও তাঁহার উৎপত্তি বিনাশ ও পৰিবৰ্ত্তন আছে, কিন্তু “ ঐ প্রকাশের ” তাহ। কিছুই নাই। দ্বিতীয়তঃ —আলোক ও অন্ধকার যেমন ভিন্ন প্রকার পদার্থ, আমাদের জড় ও অন্ধ অন্তঃকরণ আর ঐ “প্রকাশ’ ও তেমন নিতান্ত বিভিন্ন প্রকার পদার্থ। অতএব ঐ “প্রকাশ’ ভাবটি, কখনই জড় শুদ্ধ অন্তঃকরণের গুণ বা শক্ত্যাদি হইতে পারে না। অতএব উহা সমস্ত জড়পদার্থের অতীত বস্তু, সুতরাং উহাকে, "গুণ", ‘নি য়’, ‘শক্তি’, ‘দ্রব্য’ ইত্যাদি কোন নামই দান করা যায় না। কারণ ঐ সকল নামগুলি আমাদের জড় বস্তুর ভাবেই অভ্যস্ত। আর আমাদের জীবনের মূধ্যেও যাহার একবার পরিবর্তন হওয়া বা উৎপত্ত্বি বিনাশাদি পরিলক্ষিত হয় না, তাহা যে অস্ত কখনও জন্মিয়াছে বা বিনষ্ট