পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Hෂ්’ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । পক্ষিত হইয়া এরূপ ক্ষীণবল হইয়াছে যে, দুই সের ভারীর অধিক তুলিতে পরে মা অার একটা শিশুও হসেরের অধিক উত্তোলনে অক্ষম। কিন্তু .এছছুক্তয়ের তারতম্য এই যে, যিনি যুবক, র্তাহার শীঘ্ৰ মৃত্যুর আশঙ্ক মায় শিশুট নিরাপদেই থাকিবে । সেইরূপ, মনুষ্যের ধৰ্ম্মের বীজ আছে জুক্তরাং তাহা বিকার প্রাপ্ত না হইলে মনুষ্যের আত্মার ক্ষীণত হইবে, পশুদের ভাহা আদে নাই সুতরাং তাহাদের অধিব্যাধিও নাই । সম্পূর্ণ মানুষ ভারতেই সম্ভবে। আরও একটা আপত্তি। —অন্যান্য দেশে জ্ঞান, বিবেক, বৈরাগ্য, ভক্তি, শ্রদ্ধা, ঔদাসিন্য প্রভৃতি পূৰ্ব্বোক্ত ধৰ্ম্মগুলির বড় উৎকর্ষ লক্ষিত হয় না। বরং নিতান্ত অল্পতাই দেখা যায় ; তথাচ সেখানকার লোকের এত সবল, সতেজ দীর্ঘায়ু ও দীর্ঘাকায় এবং সম্পূর্ণ মানবের ন্যায় প্রতীয়মান হয়। তবে ধর্মের হ্রাস হইলে মনুষ্যের অসম্পূর্ণতা ও তৎফল অল্পায়ু প্রভৃতি হয়, ইহা কিরূপে সস্তবে ? এ কথার উত্তরে যাহা বলিব, তাহা সকলেরই নিকট বোধ হয় একটু নুতন একটু সংস্কর বিরুদ্ধ বলিয়া প্রতীয়মান হইবে । কিন্তু যাহা যুক্তিসিদ্ধ সত্য তাহ না বলিলে কি প্রকারে চলে ? বাস্তবিক দেখিতে গেলে সম্পূর্ণ মনুষ্য ভারত ব্যতীত কুত্রাপি.সস্তবে না। অন্যান্য দেশমাত্রেরই মানুষ অসম্পূর্ণ থাকিবে। ইতিহাস এবং প্রত্যক্ষই ইহার জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ। প্রাচীন ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিলে ইহা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতে হইবে যে, প্রকৃত আত্মোন্নতির পরাকাষ্ঠা ভারতবর্ষেই হইয়াছিল। বিবেক, বৈরাগ্য আত্মবোধ ও অণিমা, লঘিমাদির শক্তি প্রভৃতি মনুষ্যাত্মার যে সকল নিগঢ় ধৰ্ম্ম আছে তাহার পুর্ণবিকাশ, ভারতেই হইয়াছে। এই ভারতেই একদিন এই ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্রতম মনুষ্য প্রাণী সেই মহান হইতে মহান অনন্ত পুরুষকে সোহং ভাবে দেখিয়াছিল। যখন দুৰ্ব্বাস শুক্লজেব, ভৃগু ভার্গব বামদেব, পতঞ্জলি, পঞ্চশিখ, কাষ্ণ জিনি কপিলাদি ঋষিগণের জ্ঞানময়, তপোময়, ধৰ্ম্মময় মূৰ্ত্তি সকল মনোমধ্যে উদিত হয়, যখন র্তাহাদের জ্ঞান বীৰ্য্য, তপোবীৰ্য্য ধৰ্ম্মবীৰ্য্যের স্মরণ হয়, তখন অন্যান্য দেশ কেন, স্বরলোকও তাহার তুলনা-স্থান মনে হয় না। অধ্যদিগের শক্তি