পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

c. ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । সাম্রাণ, শ্রবণ বা কামাদি প্রবৃত্তি যাহা কিছু মনোমধ্যে বিকশিত হয়, প্রায় তৎক্ষণাৎ তাহ একবারে মন হইতে দুীভূত হয়। উহার পূৰ্ব্বেকার ঘটনাবলী মনে করিয়া কোন কাৰ্য্যই করে না, উহাদের সকল কাৰ্য্যই উপস্থিত মত। এ নিমিত্ত পশুদিগের মনের অবয়ব সন্নিবেশ হয় না—মনের অঙ্গপুষ্টি হয় না, স্বতরাং মনের দৃঢ়তা ও বলিষ্ঠত হয় না, সুতরাং আত্মারও এক অঙ্গ ক্ষীণ হইল। অতএব পশুদের আত্মা নিস্তেজ এবং দুৰ্ব্বল ও নিতান্ত ੋਂ সুতরাং তাহার জীবনীশক্তিও নিতান্ত ক্ষীণ ও দুৰ্ব্বলী । এ নিমিত্ত । পশুদের শরীর অতিশয় বলব।" হইলেও অধিক দিন জীবিতে পারে ন। হস্তী অতিশয় বলবান ও বৃহৎ শরীর হইয়াও ক্ষুদ্র শরীর মনুষ্যের তুলনায় অত্যন্ত্রজীবী । পশুর মধ্যেও ষে জাতির আধ্যাত্মিক উন্নতি অপেক্ষাকৃত কিছু অধিক ; তাহাদের দৈহিক বল অল্প থাকিলেও তাহারা অপেক্ষাকৃত দীর্ঘজীবী। অতি বৃহৎ শরীর গবাদি পশু অপেক্ষায় আধ্যাত্বিক কিছু উন্নত ক্ষুদ্র শরীর বানরাদির জীবন দীর্ঘ । অতএব আধ্যাত্মিক উন্নতি হুইলেই যে জীবনীশক্তির বৃদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক অবনতি দ্বারা ক্রমে ক্রমে জীবনীশক্তির ক্ষয় ইহা অব্যৰ্থ বলিয়াই বোধ হয়। জীবেরই শক্তিবিশেষ জীবনীশক্তি, অতএব সেই জীবের (আত্মার) অঙ্গহীন হইলে যে তাহার শক্তির হ্রাস হইবে না ইহা বোধ হয় উন্মত্ত ব্যতীত আর কেহই বলিবে না। এখন জিজ্ঞাস্য এই, যদি আত্মার পুষ্টি ও বলিষ্ঠত দ্বারা জীবনীশক্তি বুদ্ধির নিমিত্ত সকলগুলি আধ্যাত্মিক শক্তিরই বিকাশ ও পরিচালনার অবশ্যকg তবে ক্ৰোধ, ঈৰ্ষা প্রভৃতিও আত্মার শক্তি বটে, উহারাও মনের অঙ্গ বটে, অতএব উহাদেরও উত্তমরূপ পরিচালনা দ্বারা সংস্কার সঞ্চয় না করিলে অবশ্যই মন ক্ষীণাবস্থাপন্ন হইবে। তাহা হইলে ঐ সকল প্রবৃত্তিরও পরিচালনা করিতে হইবে কি ? না, কারণ ঐ সকল প্রবৃত্তি বা শক্তি মনের অঙ্গ স্বরূপ হইলেও উহা শরীরের অঙ্গ গলগণ্ড, শীলী পদাদির (গোদ ) ন্যায় অতিরিক্ত অঙ্গ—উহা মনের ব্যাধিবিশেষের মধ্যে গণ্য স্বতরাং ঐ সকল শক্তির বিকাশ ও পরিচালনা দ্বারা আত্মার ব্যাধিযুক্ত . অঙ্গই উন্নত হইবে । যে সকল গুণের বিকাশ ও পরিচালনা দ্বারা শরীরের অযথা ক্ষয় হয়, সেই সকল প্রবৃত্তির পরিচালনায় আত্মার বলিষ্ঠত হইয়া