পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মর্যাগ্য । ' *9 বিপাকং কৰ্ম্ম দ্বিবিধং সোপত্রুেমং নিরুপক্রমং । তত্র যথাক্রবস্ত্ৰং বিতানিতং লধীয়সা কালেন শুষ্যেৎ তথা সোপক্ৰমং । যথাচ .তদেব সমপিণ্ডিতং চিরেণ সংগুষ্যেৎ এবং কিরুপক্রমং । যুথী বাগ্নিঃ শুক্ষেকক্ষে মুক্তোবাতেন সমং ততো যুক্তঃ ক্ষেপীয়সা কনেন দহেত্তধ সোপং যথা বা সএবাগ্নিস্ত গ্রাশোঁ ক্রমশোবয়বেষু স্তস্তশ্চিরেণ দহেৎ তথা নিরুপক্রমং ইত্যাদি ” ইহার সার মৰ্ম্ম ।--যে শক্তি হইতে আয়ু শক্তির বিকাশ হয় তাহ বিবিধঃ-সেপেক্রম আর নিরুপক্রম। যাহার কাৰ্য্য, শরীরের উপর অত্যন্ত বিস্তত হইয়াছে তাহা সোপক্রম, তাহার সত্বরই ক্ষয় হইবে। আর যাহার কার্ষ্য অল্পে ২ শরীরের উপর প্রকাশিত হইতেছে তাহার নাম নিরুপক্রম, তাহার ক্ষয়ে অনেক বিলম্ব হয়। এখন দেখা যাউক ধৰ্ম্মের বিকাশও পরিচালনা না হইলে কিরূপ্লে আয়ুর ক্ষয় হয়। ধৰ্ম্মশক্তিগুলি যে উদ্ধ স্রোতস্বিনী আর অধৰ্ম্ম শক্তিগুলি অধঃস্রোতস্বিনী তাহা আমরা "ধর্মের গতিপ্রণালী’ ব্যাখ্যাস্ততে বুঝাইয়াছি। এখন কেবল এইমাত্র বলিলেই হইবে যে, উদ্ধস্রোতস্বিনী আর অধঃস্রোতস্বিনী প্রবৃত্তির উত্তেজনা কালীন শরীরের কি অবস্থা হয় । - মন যখন ভগবানের প্রেমরসে নিমগ্ন হয়, কিম্বা ভক্তিবৃত্তির উদ্দীপমা দ্বারা সেই অমৃতময়ের অভিমুখে অগ্রসর হয়, অথবা পরম বিদ্যার বিক্লাশ দ্বারা মনস্তত্ত্ব এবং আত্মতত্ত্বাদির অনুভব করত শরীর হইতে আত্মার পার্থক্য উপলব্ধি করে, অধ্যাত্মজগতে অবতীর্ণ হইয়া বুদ্ধি, চিত্ত, অভিমান, প্রাণ, অপান, সমান, ব্যান, উদান এবং ইঞ্জিয়শক্তি প্রভৃতি তত্ত্ব সকল জাজ্জল্যমান উপলব্ধি করিতে থাকে, তখন স্থল শরীরের ক্রিয়া নিরুদ্ধপ্রায় হয় ; মস্তিষ্ক, ফুসফুস, হৃৎপিও, পেধী প্রভৃতির ক্রিয়া তখন অতীব মৃদ্ধ হইয়া পড়ে। কারণ, ধৰ্ম্মশক্তি মাত্রেই নিরোধশক্তি হইতে উৎপন্ন এবং অধৰ্ম্মশক্তি বা ইঞ্জিয়ের ক্রিয়া আর ফুসফুস হৃৎপিণ্ডাদির ক্রিয় মাত্রেই বুখানশক্তি হইতে সমুৎপন্ন। নিরোধশক্তি নিৰৰ্বক এবং বুখানশক্তি প্রবর্তক। স্বতরাং এক সময়ে এই নিবৰ্ত্তক আর প্রবত্ত্বক উভয় শক্তির কার্ষ্য হইতে পারে না। যখন শরীরের