পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 ধৰ্ম্ম যুদ্ধেরবৃত্তান্ত। - মানিলে আমরা আঘাত করিব না, ন মানিলে ੱਝ নরাত্ম যদি ঈশ্বরের অনুগ্রন্থেতে নিবারণ না হয়, তবে তোমাকে কাটিয়া অগ্নিতে ফেলা গেলে পর তুমি দগ্ধ হইব । “ছে নরাত্মা ঈশ্বর চিরকাল সহ্য করেন না । এক, দুই, তিন বৎসর তিনি ক্ষমা করিতে পারেন, কিন্তু তিন বৎসরপৰ্য্যন্ত বিদ্রোহী হইলে তিনি কাটিয়া ফেলিবার আজ্ঞা করিৰেন, তাহ হইলে কাটিয়া ফেলিতেই হইবেক । (লুক ১৩ । ৭) দেখ তুমি তিন বৎসরের অধিক কালও বিদ্রোহাচরণ করিতেছ। অামারদের রাজার কথা কথামাত্রই, তাহার বাক্য সফল করিবার ক্ষমতা নাই, এমত বোধ করিও না । হে নরাত্মা অামারদের মহারাজার বাক্য পাপির তুচ্ছ করিলে, সেই বাক্য কেবল ভয় জন্মাইবার জন্যে নয়, জ্বলন্ত অঙ্গারের ন্যায় সৰ্ব্বনাশক হয় । “তোমরা অনেক কালাবধি নিস্কুল স্থানযোড়াকারি বৃক্ষের ন্যায় আছ, সেই অবস্থায় কি থাকিব । তোমারদের পাপপ্রযুক্তই মহারাজার সৈন্যেরা উপস্থিত হইয়াছে। তবে তোমারদের কি নিতান্ত মহাদণ্ড করিতেই হইবেক সেনাপতিরদের কথা তোমরা শুনিয়াছ, তথাপি দ্বার খুল নাই। হে নরাত্মার লোক সকল কহ। যাহা করিতেছ তাহাই করিব, কি সন্ধি করিব। তোমারদের কি ইচ্ছ।” চারি জন সম্ভান্ত সেনাপতির এই সকল কথায় নরাত্মার লোকের মনোযোগ করিল না । তাহারদের শবদ কর্ণদ্বারে পহুছিল, কিন্তু দ্বার খোলা গেল না। শেষে নগরের লোকেরা কহিল, “তোমারদের কথা বিবেচনা করিবার জন্যে কিঞ্চিৎ অবকাশ চাহি।" তাছাতে সেনাপতিরা কহিলেন “ নগরবালি কুবিরামকে আমারদের হন্তে দেও, আমরা তাহার কর্মের উপযুক্ত প্রতিফল দেই। পরে তোমারদিগকে ঘিৰে চনা করিবার সময় দেওয়া যাইবে । কিন্তু তাহাকে না দিলে